ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র নতুন সম্পাদক হচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার রাতেই জাগো বাংলার সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিলেন শোভনদেববাবু।
শোভনদেব এই মুহূর্তে রাজ্যের কৃষি দপ্তর ও বিধানসভার পরিষদীয় দপ্তরের মন্ত্রী পদে রয়েছেন শোভনদেব। দীর্ঘদিন তিনি দলীয় মুখপত্রে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর নিজের লেখা একাধিক বইও রয়েছে। কখনও বিরোধীদের জবাব দিতে, কখনও ভোট বা অন্য ইস্যুতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে বহু তথ্যসমৃদ্ধ লেখা লিখেছেন তিনি। তাঁর হাতেই আপাতত জাগো বাংলার ভার।
এদিন সকালেই সুখেন্দুশেখরের ইস্তফার খবর জানা যায়। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট করে দলের অন্দরের অস্বস্তি কিছুটা বাড়িয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর সমালোচনামূলক পোস্টের জন্য লালবাজারে তলবও করা হয়েছিল। এসবের মধ্যে সোমবার রাতে ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দলের মুখপত্রের সঙ্গে গোড়া থেকেই যুক্ত ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি আগাগোড়া সম্পাদক মণ্ডলীর যাবতীয় কাজ সামলান। পত্রিকা সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর জায়গায় এবার সব দায়িত্ব সামলাতে হবে শোভনদেববাবুকে।
আসলে সুখেন্দু ক্রমশ দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলেন। কখনও সিবিআইয়ের কাছে পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদের আরজি, কখনও ইঙ্গিতপূর্ণ কার্টুন পোস্ট করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুখেন্দুশেখর রায়। দলকে অস্বস্তিতে ফেলা সাংসদকে সতর্কও করা হয়েছিল এনিয়ে। তবে নিজের পথে নিজের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেননি তিনি। সোমবার রাতে জুনিয়র ডাক্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ার পরও সোশাল মিডিয়া পোস্টে নিজের মত জানিয়েছিলেন। আন্দোলনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে লিখেছিলেন ‘সত্যমেব জয়তে’। তারপরই ইস্তফা দেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.