সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। এসএসকেএম হাসপাতালে বসেই পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরছেন কামারহাটির বিধায়ক। তাও আবার নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে বেরোন তিনি।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে স্বমেজাজেই দেখা যায় মদন মিত্রকে। বলে দেন, “আমার নাকে লাম্প, ফুসফুসে প্যাচ দেখা দিয়েছিল। মুখ থেকে রক্ত বেরচ্ছিল। করোনা পরবর্তী সমস্যাও দেখা দিয়েছিল শরীরে। কিন্তু এসএসকেএমের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমায় সুস্থ করে তুলেছেন। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি বাড়ি ফিরছি, এটাই ভাল লাগছে।” খোশমেজাজে বাংলা ছবির বেশ কয়েকটি গানও গেয়ে ফেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে নারদ মামলায় (Narada Scam) মদন মিত্রকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গ্রেপ্তার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু তার পরের দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন মদন মিত্র। বাকিরা ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে গেলেও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে থেকে যেতে হয়েছিল হাসপাতালেই। গত শুক্রবারই এই মামলায় জামিন পেয়েছেন চার হেভিওয়েট নেতা। তাই একপ্রকার নিশ্চিন্তেই বাড়ি ফিরছেন মদন মিত্র।
কামারহাটির বিধায়ক জানান, তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই যাবেন মাজারে। উপরওয়ালাকে ধন্যবাদ জানানোর পরই নাতির সঙ্গে দেখা করবেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, নারদ মামলা নিয়ে আদালতের সমস্ত নির্দেশ মেনে চলবেন। তদন্তে সবরকম সহযোগিতাও করবেন। মদনের কথায়, “আমি কোনও ভুল করে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু তদন্তে সমস্যা হবে, এমন কোনও কাজ আমি করব না। কিন্তু মানুষ আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়, আমি কি সেলফিশ হতে পারি?”
উল্লেখ্য, এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বলেছিলেন, এখানে সঠিক চিকিৎসা হয় না। তাঁকে খানিক খোঁচা দিয়েই মদন বলে দেন, “আমি কোনও প্রাক্তনকে চিনি না। শুধু প্রসেনজিতের প্রাক্তন নামের একটা ছবি দেখেছি। হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।” আপাতত খাওয়া-দাওয়ায় কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে তাঁর বলেও জানান। তবে তিনি যে অনেকটাই সুস্থ, তা তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.