সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবিগুরুর জন্মদিনে নোবেল (Nobel Prize) চুরি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা। নোবেল উদ্ধার না হওয়ায় ফের সিবিআইকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। পালটা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সোমবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, নোবেল চুরি নিয়ে সিবিআই তদন্তে কোনওদিনই সহযোগিতা করেনি রাজ্য সরকার। কারণ, ওরা চায়নি যে নোবেলের হদিশ পাওয়া যায়। একটা সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিবিআই ব্যর্থ হলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা খুঁজে দেবে নোবেল। সেই প্রসঙ্গে এদিন রাহুল বলেন, “তৃণমূলের যোগসাজশেই নোবেল চুরি হয়েছিল। সেই কারণেই এত জোর দিয়ে নোবেল খুঁজে দেওয়ার কথা বলতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এরপরই রহুল সিনহা বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করছি, নোবেল কোথায়? আপনি খুঁজে দেবেন বলেছিলেন, তাহলে আপনি জানেন নোবেল কোথায় রয়েছে।” রাহুলের মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “এই বিজেপি নেতার কাছে এর থেকে বেশি কী আশা করা যায়।” এরপর মোদি প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন বিদেশে যা কালো টাকা জমা রয়েছে তা উদ্ধার করে আনবেন। তার মানে কি মোদি ওই টাকা বিদেশে পাচার করেছিলেন? ২০০৪ সালে মামলা হাতে নিয়েছিল সিবিআই। ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে, রাজ্য অসহযোগিতা করলে সিবিআই তা নিশ্চয়ই আদালতে বলত।”
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ সকালে জানা যায়, রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল পদক চুরি হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৫০টি মূল্যবান জিনিসও চুরি হয়। ছ’দিন পরেই তদন্তভার নেয় সিবিআই। প্রথম পর্যায়ের তদন্ত চলে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত। তিন বছর ধরে তদন্তের পর আর কোনও সূত্র না মেলায় প্রায় এক বছর তদন্তের কোনও কাজই হয়নি। ফের নতুন সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে ফের তদন্ত শুরু করার আবেদন করে সিবিআই। কিন্তু একইরকমভাবে ২০০৯ সালে আগস্টে আবার সিবিআই আদালতকে জানায়, তদন্ত এগোচ্ছে না। ফলে তা বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া হোক। ২০১০-এর ৫ আগস্ট আদালত অনুমতি দেয়। ব্যস, এরপর থেকে নোবেল নিয়ে সিবিআই স্পিকটি নট!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.