ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। কেউ কেউ তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ পর্যন্ত দাবি করেছেন। বাংলায় ৩৫৬ ধারা অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবিও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বহু বিজেপি নেতা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাল তৃণমূল নেতৃত্ব। টুইটারে তাঁরা লিখলেন, ৩৫৬ ধারা বাগবাজারের রসগোল্লা নয় যে চাইলেই মিলবে।
ভোট মিটলেও তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্ব যেন মিটছেই না। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে বিঁধতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল বলছে, নির্বাচন পরবর্তী বাংলার পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ছক কষছে বিজেপি। এদিন এই ইস্যুতে বিজেপিকে বেঁধেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সুখেন্দুশেখর রায় লেখেন, “৩৫৬ ধারা প্রয়োগের বায়নাক্কা বাগবাজারের রসগোল্লা নয় যে চাইলেই পাওয়া যায়। গণতন্ত্রে মানুষের রায় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যারা এই সাংবিধানিক রীতিনীতি মানতে চায় না তারা কর্তৃত্ববাদী তথা স্বৈরতান্ত্রিক ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী। বাংলার জনগণ এমন অশুভ শক্তিকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করেছে।” কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, “বিধানসভা নির্বাচনে জনতার দরবারে পরাজিত হবার পর শুধুমাত্র হতাশাজনিত কারণে বাংলার সাধারনণ মানুষের ইচ্ছাকে পদদলিত করার লক্ষ্যে যারা ৩৫৬-র কথা বলছেন তারা আসলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছেন।” যদিও এই জোড়া আক্রমণ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফর নিয়েও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দুর নাম না করে আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, গ্রেপ্তারি এড়াতে দিল্লি দরবার করছেন বিজেপি নেতা। কুণাল টুইটারে লেখেন, “দিল্লিতে যিনি দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন, তাঁর এটা আত্মরক্ষার সফর। স্পিকার যাতে সিবিআইকে গ্রেফতারের অনুমতি না দেন বা আগাম জামিনে সিবিআই যাতে সাহায্য করে, এইসব লবিবাজির মরিয়া চেষ্টা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.