কলহার মুখোপাধ্যায়: “মেয়র থাকি কিংবা না থাকি, মানুষের মনে থাকতে চাই। বিধায়ক থাকি কিংবা না থাকি, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছি সেটাই বড় ব্যাপার”- বললেন সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরের মেয়র। বৃহস্পতিবার সকালে দোল উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিধাননগরের সি এফ পার্কে মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি নেতা মুকুল রায় আচমকা তাঁর বাড়িতে হাজির হলে, সব্যসাচীবাবুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দলনেত্রী মমতা বন্দে্যাপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হন। শেষে দলীয় নেতৃত্বের সামনে জানিয়ে দেন তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। একপ্রকার ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি। বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে দলীয় নেতৃত্ব। এর পর এদিন সব্যসাচীবাবুর মন্তব্যে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।়
[ ‘নীরব মোদি একটা গট আপ গেম’, নাম না করে মোদিকে আক্রমণ মমতার]
দোল ও হোলি উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতাদের জনসংযোগ নতুন নয়। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম প্রত্যেকটি দলের নেতাদের দেখা যায় মানুষের সঙ্গে মিশে এই ধরনের অনুষ্ঠানে মাততে। তবে ভোটের মরশুমে এই ধরনের অনুষ্ঠান মানেই জনসংযোগের সবচেয়ে বড় সুযোগ। তেমনই একটি অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দেন সব্যসাচী। মাথায় গোলাপি পাগড়ি, চোখে সানগ্লাস। মুখে আবীর মাখা। ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। সব্যসাচীবাবু বলেন, “কাছে বসে যাঁরা পিছন থেকে ছুরি মারেন, তাঁদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আর যে জওয়ানরা দেশের স্বার্থে জীবন দিলেন, তাঁদের স্মরণ করে বলি ভারত মাতা কি জয়।” সাধারণত, বিজেপি নেতাদের মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি শোনা যায়। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী দত্ত বলেন, যতদিন ভারতবর্ষে আছেন, ভারতবর্ষকেই ভালবাসবেন। ভারতবাসী হিসাবে তিনি গর্বিত। এরপরই মেয়র বা বিধায়ক থাকা বা না থাকা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন। জবাবে সটান বলেন, “মেয়র হয়ে জন্মাইনি। মেয়র হয়ে মরবও না। তাই আজীবন মানুষের মনে থাকতে চাই। মানুষ যে আমায় তাঁদের মনে জায়গা দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।” একের পর এক এদিন প্রশ্ন উড়ে আসে। সব্যসাচীবাবুও জবাব দেন কোনও সংকোচ না করেই। দোলের দিন রংয়ে, হলুদ-লাল-কমলা আবিরে মাখামাখি ছিল তাঁর মুখ। প্রশ্ন করা হয়, কোন রং সবচেয়ে প্রিয়। জবাব আসে, “যেটায় আমায় সবচেয়ে ভাল লাগবে সেটাই ভাল।”
[পটাশিয়াম নাইট্রেটের কালোবাজারি, নাটের গুরু ‘সাহুবাবু’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.