সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘কাল বৃষ্টি না ভূমিকম্প হবে, জানি না৷ আমি এখনও তৃণমূলেরই সদস্য রয়েছি৷’’ বিজেপিতে তাঁর যোগদানের বিষয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখে এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ কেবল দলবদলের ধন্দ বজায় রাখাই নয়, একাধিক ইস্যুতে দলেরই সমালোচনা করলেন তিনি৷ প্রশ্ন তুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈহাটির ধরনা কর্মসূচির বিষয়ে৷
[ আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় অন্তঃসত্ত্বা বালিকাবধূর রহস্যমৃত্যু, গ্রেপ্তার স্বামী ]
বিজেপি নেতা মুকুল রায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে লুচি-আলুর দম খাওয়ার পর থেকেই সব্যসাচীর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে৷ তাঁকে ঘিরে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা চড়তে থাকে তৃণমূলের অন্দরে৷ রটে যায়, বিজেপিতে যোগ দেবেন বিধাননগরের মেয়র৷ পদ্ম শিবিরের টিকিটে বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তিনি৷ তাঁকে ‘পচা আলু’ বলেও কটাক্ষ করে তৃণমূলের একাংশ৷ কিন্তু কোনও আশঙ্কাই সত্যি হয়নি ৷ ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সুজিত বসুর সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূলে থাকার কথাই ঘোষণা করেন সব্যসাচী দত্ত৷ সূত্রের খবর, এরপরেও সব্যসাচীকে বিশ্বাস করতে পারেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা৷ সেজন্যই লোকসভা নির্বাচনে দলের কাজেও লাগানো হয়নি তাঁকে৷ রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, সেই ক্ষোভ থেকেই বোধহয় ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক৷ সেজন্যই এবার প্রকাশ্যে দল এবং দলনেত্রীর সমালোচনা শুরু করেছেন তিনি৷
[ আরও পড়ুন: অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দাগিদের আগাম গ্রেপ্তারের নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের ]
এদিকে, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে ধরনা কর্মসূচিও পালন করে তৃণমূল৷ দলের সেই কর্মসূচিরই সমালোচনা এদিন শোনা গেল সব্যসাচী দত্তের গলায়৷ তিনি জানান, ‘‘আমার মনে হয় না দল বিপদে পড়েছে৷ এই ধরনের ভাবনা দলের কর্মীদের মনোবল খর্ব করে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত কয়েকদিনে যেভাবে একাধিকবার বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার পদে পরিবর্তন করা হয়েছে, ওইদিন সেই বিষয়েও কটাক্ষ করেন তিনি৷ মুচকি হেসে বলেন, ‘‘ওটা মিউজিক্যাল চেয়ার হয়ে গিয়েছে৷ আমার কথায় তো পুলিশ প্রশাসন চলে না৷ সেটা হোম ডিপার্টমেন্ট ঠিক করে৷ ওনারা বলতে পারবেন কেন বসাচ্ছেন, কী কারণে রদবদল হচ্ছে৷’’ উল্লেখ্য, এর আগে বুধবারও দলকে খোঁচা দেন সব্যসাচী দত্ত৷ সমালোচনা করেন তাঁর প্রতিপক্ষ বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর৷ জানান, “কেউ কেউ বলেছিলেন পচা আলুকে সরিয়ে রাখতে হয়। তখন মনে হয়েছিল, আমি হয়তো পচা আলু। ফল বেরোতেই দেখলাম, পচা আলু দিয়ে তরকারি করলে তার স্বাদটা ভাল হয়। যাঁরা বলেছিলেন, তাঁরা বোধহয় বুঝতে পারেননি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.