ভবানীপুরে প্রচারে মমতা
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রোমের শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু অনুমতি দেয়নি বিদেশমন্ত্রক। তা নিয়ে ভবানীপুরের ভোটপ্রচার থেকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘হিংসায় জ্বলছে। মুখেই শুধু হিন্দু হিন্দু করে বিজেপি। ওখানে তো ইমাম, পোপও আমন্ত্রিত ছিলেন। আমাকে যেতে দিল না। মনে রাখবেন, আমাকে এভাবে আটকানো যাবে না।”
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেই ভোটের প্রচারে এদিন কলিন লেনে সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে অসম-উত্তরপ্রদেশ-ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে তোপ দাগেন। সমালোচনা করেন মানবাধিকার কমিশনেরও। আবার রোমে যাওয়ার অনুমতি না পেয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন তিনি।
তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, “রোমে বিশ্ব শান্তি নিয়ে মিটিং ছিল। কত লোক যাবে। পোপ যাবে, জার্মানির লোক যাবে। আজ কেন্দ্র থেকে চিঠি এল। বলল মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে যাওয়া ঠিক না। শুধু তোমরা এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াবে? আমরা কোথাও যেতে পারব না।” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “আমায় কেন যেতে দিলেন না। শান্তির কথা এলেই কেন এরকম করেন? এভাবে চলবে না। যেতে দিলে কিছু হত না। কিন্তু না যেতে দিয়ে খুব বেআইনি কাজ করলেন।”
মানবাধিকার কমিশনকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “অসমে যা হল তা অমানবিক। মানবাধিকার কমিশন কোথায়? এখানে তো কিছু হলেই চলে আসে। আর ওখানে গুলি চালিয়ে মেরে বুকের উপর উঠে নাচে। এখন কোথায় কমিশন?” কেন্দ্রকে তোপ দেগে মমতা আরও বলেন, “এনআরসি করতে গিয়ে কত লোককে মারল। আমি এখানে সেটা করতে দেব না। অসমে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। ঢুকতে দিল না। হাথরসে দলিত মেয়ের উপর অত্যাচার হল। লোক পাঠালাম ঢুকতে দিল না। দিল্লিতে কত দাঙ্গা হল। কমিশন কোথায় ছিল?”
বিজেপিশাসিত রাজ্যে গুণ্ডামি চলছে বলেও তোপ দাগেন মমতা। তাঁর কথায়, ” উত্তরপ্রদেশে গুণ্ডারাজ চলছে। অসমে-ত্রিপুরায় তাই হচ্ছে। মাথা ফাটিয়ে দেয়। গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। আমাদের এটাই মানবিকতা যে, তোমাদের এখানে আসতে দিই। আর তোমরা এসে ভাষণ দিয়ে আমাদের গালি দিয়ে চলে যাও।” পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়েও সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, “পিএম কেয়ারস কী? আজ বলছে ওটা সরকারের না। তাহলে সবাই টাকা দিল কী করে?”
এদিনের সভামঞ্চ থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সরব হন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস বোঝাপড়া করে চলে। ওরা কিছু করতে পারেনি। আমরা ঠকেছি। এবার আমাদের করতে হবে।” তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই সর্বভারতীয়স্তরে বিরোধী ঐক্য বিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল, বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.