সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবানীপুরে (Bhabanipur) ভোটপ্রচার শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে প্রথম কর্মিসভা ছিল তাঁর।সেই মঞ্চ থেকে একাধারে যেমন বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তিনি, তেমনই আবার দলীয় কর্মীদের মনোবলও বাড়ালেন। পাশাপাশি, নন্দীগ্রামে তিনি যে ষড়যন্ত্রে শিকার হয়েছিলেন, তা বলতেও ভুললেন না।
এদিন শুরু থেকেই রণং দেহি মেজাজে ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য মদন মিত্রকে নিয়ে মজাও করেন তিনি। রইল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের দশ পয়েন্ট:
- কীভাবে এবার নির্বাচন লড়েছি আমরাই জানি। একদিকে টাকা অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আমার পায়েও চোট করে দেওয়া হয়েছিল।
- হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ গুণ্ডা নিয়ে আসা হয়েছিল। এমনভাবে তৃণমূলকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছিল শুনলে আপনারা শিউড়ে উঠবেন। আপনারা অনেকে জানেনও তা।
- একটা আসনে আমি হেরেছি। মামলা করেছি। প্রমাণ না থাকলে তো মামলা হয় না।
- খালি ছাপ্পা করা হয়েছে, কাউকে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। আমি বাধ্য হয়ে একটা বুথে গিয়ে নিজে ২ ঘণ্টা বসে ছিলাম। সেদিন কেউ আমার কথা শোনেনি।
- নন্দীগ্রামে আমি ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি। আমাকে হারাতে প্ল্যানিং করা হয়েছিল, কে করেছে আমি জানি। নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল ওঁদের ষড়যন্ত্রের জন্য।
- ভোট এলেই এজেন্সি দেখানো হচ্ছে। এখন আমাদের যাকে খুশি ডাকছে ইডি, সিবিআই। অভিষেক, পার্থদা, সুব্রতদা সকলকে ডাকা হচ্ছে। অকারণে মামলাটা দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল। ৯ ঘণ্টা জেরার পর ফের ডাকা হল, কেন এমনটা হবে। কংগ্রেসকে এজেন্সি দেখিয়ে জব্দ করা হয়েছে। মুলায়ম সিং, শরদ পওয়ারকে জব্দ করেছে।
- কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিদেশে যদি না যাওয়া যায়, তবে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে আমেরিকা যাচ্ছেন? সমস্ত ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।
- ওদের দলে যাদের নামে অভিযোগ থাকছে তাদের জন্য অ্রর্ডার বের করে আনছে। তাদের নামে নাকি এফআইআর করা যাবে না। কেন, ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র নাকি?
- এখন যদি আমি বক্সিদাকে বলি বক্সিদা আমার সঙ্গে ঝগড়া করবেন। আমি ওঁদের বললাম ছেড়ে দিন না, কী দরকার? আমি তো এতদিন করলাম, আপনারা করুন, আমিই সবটা করে দেব। বলল, না হবে না। সবার জন্য ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ আর আমার জন্য বলবে চেয়ারম্যানও থাকতে হবে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার সঙ্গে এই বিভেদ কেন? সে ওঁরা শুনবে না।
- কাল পুজোর বৈঠকে গিয়েছিলাম। তা নিয়েও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিয়েছে। পুজো করলে বলবে নিয়ম ভাঙছি। আবার নির্বাচন এলে বলবে, ভোট করতে দিচ্ছে না।