সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে ইস্তফার নির্দেশ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে খোঁচা দিতে গিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে কুরুচিকর ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ সজল ঘোষের। পালটা জবাব দিলেন কুণালও।
এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে তাঁর বাবা প্রদীপ ঘোষের ‘কুকর্মে’র কথা মনে করিয়ে দেন কুণাল। নৈশ আসরে কংগ্রেস নেত্রী চিত্রা ঘোষকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে সজল ঘোষের বাবার বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে জেলেও যেতে হয়েছিল প্রদীপ ঘোষকে। এছাড়া সজল ঘোষের বিরুদ্ধে নানা অসাধু কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। শ্রীঘরেও গিয়েছেন বিজেপি নেতা। সেসব কথাও মনে করিয়ে বিজেপি নেতাকে একহাত নেন কুণাল।
কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নার শোকজ এবং ইস্তফার নির্দেশকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীকে প্রণাম করার জন্য শাস্তির কোপে সুবল। সৌজন্য দেখানোই কি কাল, গেরুয়া শিবিরের তরফে সে প্রশ্নও উঠছে। তবে মতানৈক্য ঘুচিয়ে শোকজ এবং ইস্তফার নির্দেশের নেপথ্য কারণ যে অন্য, তা আরও একবার স্পষ্ট করেন কুণাল। শিশির অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত কারও অজানা নয়। এই পরিস্থিতিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশিরকে ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে দাবি করা দলে নিয়মবিরুদ্ধ। সে কারণে সুবল মান্নার উপর শাস্তির কোপ, তা জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
একথা বলতে গিয়ে ‘সৌজন্য’ প্রসঙ্গে গত বছর বড়দিনের একটি অনুষ্ঠানে কুণাল ও সজলের আড্ডা নিয়ে জলঘোলার কথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। সেই সময়ের কল রেকর্ডের কথা উল্লেখ করেন। প্রথমে আক্রমণ করলেও, পরে সজলের ভুল স্বীকারের স্মৃতি রোমন্থন করেন তৃণমূল মুখপাত্র। যদিও পালটা আক্রমণ নিয়ে আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সজল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.