ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP) উত্তর কলকাতার সভাপতি পদে রদবদল। কল্যাণ চৌবের বদলে ওই সভাপতি পদে বসেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্রনেতা তমোঘ্ন ঘোষ। বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রাক্তন তৃণমূলীর অভিষেক নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বললেন, “আমি তো ভেবেছিলাম, সুদীপদাই (সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) ঢুকিয়েছে স্ট্র্যাটেজি করে। পরে ফিরিয়ে নেবেন।” যদিও বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ের গলায় আবার অন্য সুর।
বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি পদে ছিলেন কল্যাণ চৌবে। এআইএফএফের সভাপতি পদে বসেছেন তিনি। তাই উত্তর কলকাতা বিজেপির সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি পদে বসেছেন নতুন নেতা তমোঘ্ন ঘোষ। আর তারপরই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কারণ তমোঘ্ন ঘোষ তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেতা।
এই রদবদল নিয়ে মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “আদি বিজেপি নেতাদের থুতু ফেলে ডুবে মরা উচিত। কাউকে খুঁজে পাচ্ছিল না। আমি ভেবেছিলাম, সুদীপদাই ঢুকিয়েছে স্ট্র্যাটেজি করে। পরে ফিরিয়ে নেবেন।” এই মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তাপস রায়ও। বলেন,”তমোঘ্নকে নিয়ে গিয়ে দিদির সামনে ছাত্র পরিষদের সভাপতি করার কথা বলেছিলেন সুদীপ। ওঁর বাবা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ।” তিনি আরও বলেন, “ওঁদের (তমোঘ্ন ঘোষ) বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। অষ্টমীর দিন সুদীপ, শুভেন্দু দুজনেই ওদের বাড়ি গিয়েছিলেন। আরও একজন গিয়েছিলেন। কল্যাণ চৌবেও ছিলেন।” তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে আরও জলঘোলা শুরু হয়েছে।
এদিন তাপস রায় আরও বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের দলের বিরুদ্ধে নানা রকম নানা দল থেকে গভীর চক্রান্ত চলছে। আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। দিদির উদার মনের সুযোগ নিয়ে আমরা দেখেছি অতীতে বহু ক্ষতি হয়েছে। সে ব্যাপারে আমাদের নজর রাখতে হবে।” তাঁর কথায়, “এখানে দলে ডেডিকেটেড লয়ালিস্ট আর ডিভাইডেড লয়ালিস্ট আছে। ডিভাইডেড লয়ালিস্ট এর উপর নজর রেখে ডেডিকেটেড লয়ালিস্টদের সামনে আনতে হবে। কয়েকজন আছে যারা দলের বোঝা। এরা দলের অ্যাসেট হতে পারে না। কর্মীরা এদের জানে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.