সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের ভোটের আগে দলবদলের হিড়িক পড়েছিল। দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন তাঁরা। তাই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লিখিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই উলটোচিত্র। তৃণমূল সুপ্রিমোর আঁচলের ছায়ায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কেউ কেউ পোস্ট দিয়ে ফলাও করে ফেরার কথা জানাচ্ছেন, কেউ কেউ আবার দলের সঙ্গে তলে-তলে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু তৃণমূল ফেরা এত সহজ নয়। তার জন্য ফিল আপ করতে হবে একটি ফর্ম। ‘বেসুরো ফর্ম’। কোথায় পাওয়া যাবে সেই ফর্ম? যোগাযোগ করতে হবে তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের (TMC leader Debangshu Bhattacharya) সঙ্গে।
‘ঘর ওয়াপসি’র আবহে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ফর্মের ছবি আপলোড করেছেন দেবাংশু। কী আছে এই ফর্মে? ফর্মে নিজের নাম, বিধানসভা, লোকসভা কেন্দ্র লিখতে হবে। লিখতে হবে, কী কারণে বেসুরো হয়েছিলেন, আবার কেনই বা দলে ফিরতে চান? এই উত্তর দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপশন রাখা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই নেতা বা নেত্রী কি নিজেকে ধান্দাবাজ মনে করছেন? ফর্ম জমা করার নির্দিষ্ট ঠিকানাও বলে দিয়েছেন দেবাংশু।
ভোটের পরই অন্যান্য দল ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন অনেকে। সেই তালিকায় প্রথম হেভিওয়েট নাম সোনালী গুহ। তৃণমূল নেত্রীর একসময়ের ছায়াসঙ্গী। ‘অভিমান’ করে দল ছেড়েছিলেন তিনি। বিজেপিতে এসে কপালে টিকিটের শিঁকে ছেড়েনি। এমনকী, উপযুক্ত সম্মান পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার ফের মমতার ছত্রছায়ায় ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। টুইটও করেছেন তিনি। তবে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এদিকে মালদহের জেলা পরিষদের সদস্য সরলা মুর্মুও দলে ফিরতে চেয়েছেন। তিনি টিকিট পেয়েও দল ছেড়েছিলেন। বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পাননি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বহু দলবদল করা নেতা-নেত্রীই এই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন।
এই সুযোগ ছাড়তে চাননি দেবাংশু। দলবদল করা এই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কৌতুকে মজেছেন তিনি। ভোটের আগে দলবদল করা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার ফেরার স্রোত শুরু হতেই ফের তাঁদের বিঁধলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশু লিখেছেন, “আমি দলকে মেন পার্টি অফিসের বাইরে একটা গুদাম ঘর বানাতে বলেছিলাম ভোটের আগে.. দল বানালো না! ধুর! এখন এত ক্ষমা প্রার্থনার চিঠি সব রাখবে কোথায় বলুন তো?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.