ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: একাধিক শারীরিক পরীক্ষা পর অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলকে ভরতির সিদ্ধান্ত নিলেন চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ মেনেই এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ২১১ নম্বর কেবিনে ভরতি হলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
গরুপাচার কাণ্ডে বুধবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে যাওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর (Anubrata Mandal)। তবে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি। গতকাল, মঙ্গলবার রাত থেকেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই কারণে এদিন এসএসকেএমে আসেন। ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করে। তারপরই তাঁকে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যতদিন না তিনি সুস্থ হচ্ছেন, ততদিন হাসপাতালেই কাটাতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ডা. সৌমিত্র ঘোষ, ডা. দিলীপ পাল-সহ মেডিক্য়াল টিমের সদস্যরা মিলে অনুব্রতর ইসিজি, এক্স-রে, রক্তের একাধিক পরীক্ষা হয়েছে। জানা গিয়েছে তাঁর হার্টে সামান্য ত্রুটি রয়েছে। লিভারের সমস্যাও ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। বুক ধড়পড়ানি (iscimik heart desi), বুকে ব্যথার মতো সমস্যাগুলির জন্যও হয়েছে টেস্ট। সেসব পরীক্ষার পরই ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামিকাল ফের মেডিক্যাল টিম বসে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নেবে বলেই খবর।
মঙ্গলবার সন্ধেয় কলকাতায় পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। চিনার পার্কের বাড়িতে রাত কাটান। বুধবার সকালে মিনিট দশেক আইনজীবী সঞ্জীবকুমার দাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর এদিন সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে রওনা দেন। যাতে সিবিআই তলবে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে শেষমেশ নিজাম প্যালেসের পরিবর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে যান অনুব্রত মণ্ডল। দীর্ঘদিন ধরেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বুকে সমস্যা রয়েছে। যার জন্য আগেও একাধিকবার চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় পেটের সমস্যা বাড়ে। তাই পূর্বপরিকল্পনা মাফিকই এদিন এসএসকেএম পৌঁছান তিনি।
এদিনে অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অবগত করতে এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর দুই আইনজীবী। তাঁরা জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হাজিরা দিতে পারেননি অনুব্রত। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা চাইলে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে কথা বলতেই পারে।
এদিকে, গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত একাধিকবার সিবিআই তলব প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আইনের আওতায় রয়েছে। আইন আইনের পথেই চলবে। তাই এই নিয়ে আলাদা কোনও মন্তব্য করব না।” তবে এরপরই কটাক্ষের সুর তাঁর গলায়। বলে দেন, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নানা ব্যস্ততা সত্ত্বেও সময় বের করে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছে যান। আমাকেও যখনই ইডি বা সিবিআই ডেকেছে, সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.