Advertisement
Advertisement
Abhishek Banerjee

যুব তৃণমূল সভাপতি হলেন সায়নী ঘোষ, কে কোন পদ পেলেন, দেখে নিন

মন্ত্রীরা আর জেলা সভাপতি থাকতে পারবেন না।

Sayani Ghosh takes the post TMC's youth wing chief । Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 5, 2021 3:39 pm
  • Updated:June 5, 2021 8:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের সংগঠনে একাধিক রদবদল হল। যুব তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শনিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই তিনি পদত্যাপত্র জমা করেন। তাঁর বদলে এই পদে এলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। অর্থাৎ তৃণমূলের নতুন যুব সভাপতি হলেন সায়নী। সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই এদিন ইস্তফা দেন অভিষেক। 

শনিবার দলের সাংগাঠনিক রদবদল নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক হয়। সেখানে দলের সাংগাঠনিক খোলনলচে বদলের উদ্দেশ্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেয় দল। দলের বিভিন্ন পদে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনও করা হয়। যেমন তৃণমূলের যুব সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে এলেন কুণাল ঘোষ। কাকলি ঘোষ দস্তিদার হলেন সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি। বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী  হলেন রাজ্য তৃণমূলের সংস্কৃতি শাখার সভাপতি। এদিকে প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসুর পেলেন দলের খেতমজুর শাখার সভাপতির দায়িত্ব। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হলেন দোলা সেন। আর শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হলেন প্রাক্তন বাম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গজননীর সভানেত্রী হলেন মালা রায়। মূলত, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’-নীতির কথা মাথায় রেখেই সাংগাঠনিক স্তরে এই ব্যাপক রদবদল করা হল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পৌরসভা কোনও কাজ করেনি, কামারহাটির দায়িত্ব আমায় দিন’, মমতার কাছে আরজি মদনের]

এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, এবার নির্বাচনে দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুদের টিকিট দেওয়া হয়নি। বদলে নির্বাচন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু এদিন তৃণমূলের সিদ্ধান্ত দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, অনেক আগে থেকেই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছিল দল। তাই তাঁদের বিধায়ক বা মন্ত্রী না করে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল। 

এদিনের বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, এর পর থেকে মন্ত্রীরা আর জেলা সভাপতি থাকতে পারবেন না। মন্ত্রীদের গাড়ির লালবাতি যত্রতত্র ব্যবহার যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছে পোস্ট করা যাবে না। এমনকী, ফেসবুকে লাইভ করে দল সম্পর্কে যা ইচ্ছে বলা যাবে না। দলীয় সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে ফেসবুক লাইভ করা নিয়ে মদন মিত্রকে সাবধান করে দল। তাঁকে সংযত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, তাঁকে মন্ত্রীত্বের পর সাংগাঠনিক পদও দেওয়া হল না।

বৈঠকে দলের ভাবমূর্তি সম্পর্কে  সচেতন থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় নেতাদের। এমনকী, কয়লা-বালি দুর্নীতিতে যাতে দলের কোনও নেতার নাম না জড়ায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী এক মাসের মধ্যে ৮ টি জেলা কমিটি বদল করা হবে। এই আটটি জেলা হল -আলিপুরদুয়ার, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দার্জিলিং, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর। সবমিলিয়ে ‘মিশন ২০২৪’-কে সামনে রেখে ঘর গুছতে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। 

[আরও পড়ুন: ভোটের পরও মানুষের পাশে, রাজনীতিতে ‘সাবালকত্ব’ অর্জন করছেন অভিষেক]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement