সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র নিশ্চিত চারটি আসনই নয়, পঞ্চম আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছে দলীয় নেতৃত্ব। চারটি আসনে তাদের নিশ্চিত জয়। কিন্তু পঞ্চম আসনের জন্য প্রয়োজনী মতো বিধায়ক সংখ্যা তাদের হাতে নেই। তার পরেও পাঁচটি আসনে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জোগাড়ের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি বিধানসভায় এসে পৌঁছেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় মনোনয়নপত্র তুলবে। রাজ্যসভার প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে দলীয় বিধায়ক-শক্তি কত রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তরিত আলোচনা এর মধ্যেই সেরে ফেলেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দলের তরফে পাঁচটি মনোনয়নপত্র তোলার নির্দেশ এসেছে সংশ্লিষ্ট মহলে। প্রশ্ন এখানেই।
এই মুহূর্তে তৃণমূলের হাতে তাদের প্রতীকে জিতে আসা বিধায়ক রয়েছেন ২০৭ জন। অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ১৭ জন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ২২৪। কিন্তু রাজ্যসভার ভোটে দলনেতাকে দেখিয়ে ভোট দিতে হয়। ফলে দল বদল করে আসা এই সংখ্যক বিধায়ক নিজেদের দলের প্রার্থীদের ভোট না দিয়ে তৃণমূলকে দিলে দল বিরোধিতার দায়ে পড়বেন। যদিও হুইপ নেই। তবু অন্য দলকে ভোট দিতে পারবেন না।
আসন খালি হচ্ছে পাঁচটি। ষষ্ঠ আসনে কোনও দল প্রার্থী দিলে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে ২৯৪ জন বিধায়কের ভোট ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৯ করে ভাগ হবে। এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছে নিজেদের ছয়জন বিধায়ক। অন্যদল থেকে আসা বিধায়কের কাজে লাগাতে পারবে না। ফলে তাদের ভোটে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। এখন বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে ভোটে গেলে বাম প্রার্থী ভোটে দাঁড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই দুই দলের যথাক্রমে ২৮ ও ২৭ জনের সমর্থনে সেই প্রার্থী সাংসদ হয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের হাতে পঞ্চম আসনের জন্য দরকারি বিধায়ক সংখ্যা নেই। তার পরও পাঁচটি মনোনয়নপত্র কেন?
তৃণমূলের তরফে সরকারিভাবে এ নিয়ে মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে দোল উৎসবের পরেই তাদের প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে। প্রার্থী হিসাবে দীনেশ ত্রিবেদী, মনীশ গুপ্ত ও মৌসম নুরের নাম বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে অন্য আরও কিছু নামও। চতুর্থ আসনে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে চাইছে তৃণমূলের একাংশ। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামও একাধিক মহলে আলোচনায় রাখা হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ, পঞ্চম আসন নিয়ে। প্রশ্ন, পর্যাপ্ত বিধায়কের শক্তি না থাকা সত্তেও কেন প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে? তবে কি কোনও অদৃশ্য অঙ্কের সম্ভাবনা তৈরি হল? প্রশ্ন বিরোধী মহলেও। যেখানে শাসকদলের এক শীর্ষ নেতা যদিও নিষ্পৃহভাবে বলেছেন, “এই ভোট নিয়ে কারও কোনও আগ্রহ নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.