ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সর্বভারতীয় স্তরে শক্তি বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল (TMC)। জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধিতা এবং দলীয় সংগঠনকে মজবুত করার নীলনক্সা তৈরি করতে সোমবার কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটি। বৈঠক শেষে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন জানান, সংবিধান বদলাচ্ছে দল। শুধু বাংলা নয়, দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান পাবেন অন্যান্য রাজ্যের নেতারাও। এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, দল যে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা দলনেত্রীকে দিয়ে পাস করাতেই হবে। জাতীয় স্তরে দলের বিস্তার-সহ অন্যান্য সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একছত্র অধিকার দেওয়া হবে দলের সুপ্রিমোকে।
আগামী বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বছর দুই পরে লোকসভা ভোট। এবার জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধিতা করতে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির। বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে ছাপ রাখতে মরিয়া তারা। ইতিমধ্যে কিছুটা সফলও হয়েছে। কিন্তু সবে তো শুরু। আর তাই জাতীয়স্তরের রাজনীতির কথা মাথায় রেখে দলের সংবিধানে পরিবর্তন আনা হবে। বাড়ানো হবে ওয়ার্কিং কমিটি। সেখানে স্থান পাবেন বাংলার বাইরের রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। বৈঠকের পর জানালেন ডেরেক। তাঁর কথায়, “এখন তৃণমূলের সংবিধান অনুযায়ী ২১ জন সদস্য রয়েছেন। সংখ্যা বাড়ানো হবে। নেত্রীকেই সেই দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে নেওয়া হবে।” ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে দিল্লিতে।
এদিন বৈঠকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা ছাড়াও হাজির ছিলেন ত্রিপুরা, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার তৃণমূল নেতারা। ছিলেন বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য যশবন্ত সিনহাও। বৈঠকের শুরুতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। সর্বভারতীয় স্তরে কীভাবে এগোবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়। এদিন ডেরেকের বার্তা, “বাংলা ভারতবর্ষকে মে মাসে দেখিয়েছে। ২০২৪ সালে সারা দেশকে পথ দেখাবে। আমরা গ্রোয়িং পার্টি। মমতাদির লড়াই, কর্মীদের মৃত্যু গোটা দেশে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের ডিএনএ পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু দলের সংবিধান পরিবর্তন করা হচ্ছে।”
Today, AITC leaders from Meghalaya met with our Chairperson @MamataOfficial and our National General Secretary @abhishekaitc.
Special moments from the event
pic.twitter.com/jM4gZkVCS5
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 29, 2021
জেডিইউ ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন পবন বর্মা। এদিন বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “আজ দেশের যা অবস্থা তাতে এটা স্পষ্ট সারা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে আন্দোলনে নামতে হবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এই দ্বায়িত্ব নিতে হবে।” সূত্রের খবর, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ‘একলা চলো’ নীতি নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তবে কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে আসতে চাইলে স্বাগত জানাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.