ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভোটার তালিকা থেকে ‘ভূত’ তাড়াতে আরও জোরদার দাওয়াই ঠিক করে ফেলল রাজ্যের শাসকদল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে এই সংক্রান্ত বৈঠক থেকে পাঁচটি নয়া নীতি তৈরি করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি কোর কমিটি। পাশাপাশি জেলায় জেলায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটারদের চিহ্নিত করে আলাদা করতে প্রত্যেক জেলা আলাদা করে কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হল। তাতে কমপক্ষে ১১ জন প্রতিনিধি থাকছেন। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ তারিখ ফের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মমতার তৈরি কমিটিকে ভারচুয়াল বৈঠকে ডেকেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলা থেকে আসা রিপোর্টগুলি নিয়ে আলোচনা হবে, তারপর তা পেশ করা হবে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে এই বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনার পর জেলা সভাপতিদের জন্য পাঁচ দফা দাওয়াই বেঁধে দেওয়া হল। জানানো হয়েছে –
১) এ রাজ্যে ভোট দেওয়ার অধিকারী নন, এমন নামগুলিকে আলাদা করে নথিভুক্ত করতে হবে।
২) একই এপিক নম্বরে আলাদা আলাদা নাম থাকলে তা পৃথকভাবে নথিভুক্ত করতে হবে।
৩) ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার বিধানসভা ভিত্তিক প্রত্যেকটি বুথের প্রতিটি পার্টে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে স্ক্রুটিনি করতে হবে। একইসঙ্গে ভোটার তালিকার সত্যতা যাচাই করতে হবে।
৪) অন্যায় বা অযাচিতভাবে ভোটার তালিকা থেকে যে সমস্ত নাম বাদ গিয়েছে, সেগুলিকে পুনরায় নথিভুক্ত করতে হবে।
৫) অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে যে সমস্ত ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে, সেসব নামে বিশেষ নজরদারি করতে হবে।
এছাড়া প্রত্যেক জেলায় কোর কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনির কাজে। তাতে থাকবেন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান, বিধায়ক, সাংসদ, জেলার শাখা সংগঠনের সভাপতি, ব্লক ও টাউনের সভাপতিরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পুরসভার চেয়ারম্যানরা। তবে বীরভূমের জন্য আলাদাভাবে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। সেখানকার কোর কমিটিই এই দায়িত্ব সামলাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.