কলহার মুখোপাধ্যায়: দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপ্রিয়া কুণ্ডুর স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বন্ধ দোকান থেকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শোকপ্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক। দমদমের কমলাপুর মাঠের কাছে বাড়ি কাউন্সিলরের। সেই বাড়ির নিচেই নিজেদের স্টেশনারি দোকান। বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে দোকানেই শুতে যান নির্মলবাবু। সোমবার সকালে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকেরা দমদম থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে শাটার ভেঙে নির্মলবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নির্মলবাবু।
কেন আচমকা আত্মহত্যা? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন নির্মলবাবু। দীর্ঘদিন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার জন্য আগের মতো নিয়মিত বাড়ি থেকে বেরতে পারতেন না। ঘরবন্দি থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তারউপর বিগত লোকসভা ভোটে দমদমে তাঁর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তুলনামূলক খারাপ ফল হওয়ায় আরও ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু। এলাকায় শাসক দলের কর্মীদের কাছেও একাধিকবার নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন নির্মলবাবু। কার্যত এই কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বলে মনে করছেন পরিবারের লোকেরা। যদিও তার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।
দমদমে এমন ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়, বছর দুয়েক আগে দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সঞ্চিতা দত্তের রহস্যমৃত্যু নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছিল কাউন্সিলরের গলায় ফাঁস লাগানো দেহ। সঞ্চিতার মতো নির্মলবাবুও এলাকায় কাজের মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.