ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পূর্ব পরিকল্পনা মতো নতুন বছরের শুরুতেই দলের নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের সাংসদ, বিধায়ক-সহ পঞ্চায়েত স্তরে দলের নেতৃত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদের আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠকে ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) থেকে শুরু করে শীর্ষ স্তরের সমস্ত নেতৃত্ব।
ওই দিন থেকেই পঞ্চায়েতের জন্য একেবারে নতুন আঙ্গিকে একটি কর্মসূচি দিয়ে দলকে ময়দানে নামিয়ে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় বিধায়ক-সাংসদরা (MP-MLA) কেমন কাজ করছেন এবার তার খতিয়ান নিতে যাবেন অন্য এলাকার বিধায়ক। এভাবে এলাকা বদলে একইভাবে অন্য কোনও এলাকার খবর নিয়ে বিধায়ক সাংসদরা রিপোর্ট দেবেন নেতৃত্বকে। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত এই মূল কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতের আগে এবার দল জনপ্রতিনিধিদের কাজের সমীক্ষা করবে। তারই পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি নজরুল মঞ্চ থেকে ঘোষণা করার কথা মমতার।
আসলে, মাটির খবর একেবারে তৃণমূল স্তর থেকেই পেতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। সেকারণেই অভিনব কর্মসূচির ভাবনা। যিনি যে তল্লাটের বিধায়ক, সেই এলাকা ছেড়ে তাঁকে কাজ দেখতে যেতে হবে পাশের বিধানসভা এলাকায়। তাঁর কাজ দেখতে আসবেন অন্য কোনও বিধায়ক। আবার যিনি যে এলাকার গ্রাম প্রধান, তিনি যাবেন তাঁর পাশের এলাকায়। তাঁর এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে আসবেন অন্য কেউ। খতিয়ান নেবেন পাশের গ্রামপ্রধানের কাজের। কোথায় কোন কাজ হয়েছে, কোথায় ফাঁকি রয়ে গিয়েছে, বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে শীর্ষনেতৃত্বকে। বিধায়ক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নতুন কাঠামোয় এবার এভাবেই জনমত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই জনসংযোগ পর্ব জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দু’মাসের ১০ দিন করে হবে। গ্রাম, পাড়া বা সমাজের ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মুখ থেকে এলাকার কাজের খতিয়ান শোনা হবে। নেওয়া হবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের রিপোর্টও। এর সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ (Didi Ke Bolo) বা ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র (Bangadhani Yatra) মতো গ্রামে গিয়ে কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটিয়ে এলাকার মানুষের কথা শোনা ও নতুন করে জনসংযোগের একটা বড় অংশ থাকছে কর্মসূচির মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.