সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা মতোই বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তৃণমূলের ৩৫ জন কাউন্সিলর৷ মঙ্গলবার সকালে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে চিঠি জমা দিয়েছেন কাউন্সিলররা৷
[ আরও পড়ুন: বিজেপিতে গুটখার গন্ধ! তৃণমূলে ফিরলেন হালিশহরের চেয়ারম্যান-সহ ৮ কাউন্সিলর ]
সূত্রের খবর, এবার নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ে আস্থা ভোট হবে পুরসভার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে সব্যসাচীকে। অবশ্য তার আগে যদি সব্যসাচী ইস্তফা দিয়ে দেন, তবে ভোটাভুটির দরকার হবে না। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কতজন কাউন্সিলর সব্যসাচীর পক্ষে থাকেন। যদিও এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ তিনি জানান, ‘‘গোপন ব্যালটে ভোট হবে তো, দেখা যাক না কি হয়৷’’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘যতদিন আমি দায়িত্বে থাকব কাজ করে যাব৷ যদি অনাস্থায় হেরে যাই তবে কাউন্সিলর হয়ে কাজ করব৷’’
[ আরও পড়ুন: গান পয়েন্টে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার শিক্ষক ]
এই পরিস্থিতিতে সব্যসাচী প্রসঙ্গে এদিন ফের মুখ খোলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দল অনেক আগেই সব্যসাচীকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল বলে জানান তিনি। আক্ষেপের সুরে জানান, “আমার স্নেহের বশে সব্যসাচীকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। দল আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল। এর জন্য আমি দায়ী।” তাঁর বক্তব্য, “আমি অনেক পরে বুঝতে পারি দলের শৃঙ্খলার কাছে স্নেহের কোনও জায়গা নেই। আমি দলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” যদিও ‘দাদা’ ফিরহাদকে এখনও তিনি শ্রদ্ধা করেন বলেই জানিয়েছেন সব্যসাচী৷ তিনি জানান, ফিরহাদ হাকিম দাদার মতো৷ তাঁর প্রতি সৌজন্য বজায় থাকবে৷ পাশাপাশি তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনাও উড়িয়ে দেন বিধাননগরের মেয়র৷ বিজেপির তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি৷ মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গেও আগের অবস্থানেই অনড় থাকেন৷ সব্যসাচী দত্ত জানান, মুকুল রায় দাদার মতো৷ সমস্যায় পড়েছি দেখে পরামর্শ দিতে এসেছিলেন৷
[ আরও পড়ুন: রাহুলের পথে হেঁটে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়লেন সোমেন মিত্র ]
প্রসঙ্গত, সব্যসাচী-সংকট কাটাতে রবিবারই তৃণমূল ভবনে দলীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন ফিরহাদ। সেই বৈঠকেই সিংহভাগ কাউন্সিলর ক্ষোভ উগরে দেন সব্যসাচীর বিরুদ্ধে। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির হাতে সেই রিপোর্ট তুলে দেন ফিরহাদ৷ দায়িত্ব কমানো হয় সব্যসাচীর৷ এরপর মঙ্গলবার সকালে ৩৫ জন কাউন্সিলর সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে সই করেন। এবং মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ডেপুটি তাপস চট্টোপাধ্যায়৷ দাবি করেন, সিংহভাগ কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে রয়েছেন। পাল্টা দাবি করে সব্যসাচী বলেন, সেটা সময় বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.