Advertisement
Advertisement
দুর্গাপূজা

বিজেপির হাত থেকে পুজো বাঁচাতে তৃণমূলের ভরসা পাড়ার প্রবীণরা

‘তরুণ প্রজন্ম বিজেপির ফাঁদে পা দিতে পারে’, আশঙ্কাপ্রকাশ তৃণমূল নেতাদের একাংশের৷

TMC-BJP fight to wrest control of Durga Pujas intensifies
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 13, 2019 10:56 am
  • Updated:August 13, 2019 8:47 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নজর পড়েছে বিজেপির। দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহাদের উদ্বোধনে আসার কথা। থাকতে পারেন মুকুল রায়ও। কলকাতার কম বাজেটের পুজোই নাকি টার্গেট। পুজো কমিটি ধরে পাড়ায় ঢুকতে চাইছে বিজেপি। উদ্দেশ্য, পরের নির্বাচনে পুরসভা দখল। ন্যাড়া চারাগাছের পাশে চুপিসাড়ে তাই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করল তৃণমূল।

[আরও পড়ুন: মেট্রোর নিরাপত্তায় চরম গাফিলতি, ধরা পড়ল খোদ আইজি-এর পরিদর্শনেই]

ছোট বাজেটের সব পুজোতেই এবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পাড়ার বড়দের। দলীয়ভাবে কোনও নির্দেশ নয়, তৃণমূল মনোভাবাপন্ন কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে প্রচ্ছন্নভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিজেপির থাবা থেকে বাঁচাতে বয়স্কদের সামনে আনতে হবে। আগে যেভাবে বাবা-কাকা-জ্যাঠারা পাড়ার পুজোর দায়িত্ব নিয়ে কোমর বেঁধে নামতেন, সেইভাবে। জেলার পুজোগুলির দিকেও নজর রেখেছে রাজ্যের শাসকদল।
গত কয়েক বছরের রেওয়াজে দেখা গিয়েছে পাড়ার যুবকরাই পুজোর সর্বেসর্বা। খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে চাঁদা তোলা। চাঁদা নিয়ে দরাদরি থেকে প্রতিমা আনতে যাওয়া সবই প্রায় সামলাতেন অল্পবয়সীরা। বেশ দাপটের সঙ্গেই চলত সেসব। এমনকী, চাঁদা নিয়ে জোরজুলুমের অভিযোগও কম ওঠেনি। কিছুটা কোণঠাসাই হয়ে
পড়েছিলেন পাড়ার বয়জেষ্ঠ্যরা। একটা সময় টানা পুজোর কাজ করে এসে আচমকাই ব্রাত্য হয়ে পড়েন তাঁরা। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের আশঙ্কা, এই পথেই কম বাজেটের পুজোর খোঁজ নিয়ে পাড়ায় ঢুকে পড়তে চাইছে বিজেপি। বাজেটে আর্থিক সাহায্য এলে
তাদের হাত ধরা সহজ হবে। আর অল্পবয়সীদের মধ্যে সেই প্রবণতা বেশিই থাকবে বলে মনে করছে তৃণমূল। তাঁদের কথায়, এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পুরভোটে।

Advertisement

এই আশঙ্কার কথাই জানাচ্ছেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। বলছেন, “পুজো কমিটিকে ধরে পাড়ায় ঢুকতে চাইছে বিজেপি। সামনে পুরসভা ভোট। পুজোর মধ্যে দিয়ে বিজেপি পাড়ায় ঢুকে মানুষের মন বদলাতে চাইবে।” কমিটির হাতবদল রুখতে বয়স্কদের
বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা, অভিজ্ঞতা, সামাজিক দায়বোধকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের এক সিনিয়র মন্ত্রীর পাড়ার পুজোই শুধু নয়, প্রাক্তন এক দাপুটে মন্ত্রীর পাড়ার পুজোতেও এবার এই নিয়ম।

তবে বয়জ্যেষ্ঠদের তো এক সময় বয়স অল্প ছিল। কলকাতার পুজোয় বেশ নামকরা তৃণমূলের এক সিনিয়র মন্ত্রী জানাচ্ছেন, “তখন বিজেপির এত রমরমা ছিল না। এখন বিজেপি পুজো কমিটি দখল করতে চাইছে।” সম্প্রতি সঙ্ঘশ্রী পুজো কমিটিতে এভাবে থাবা বসাতে চেয়েছিল বিজেপি। তাদের বাজেটও অল্প। সেখানে বেশ কিছু অর্থ সাহায্য করতে চেয়েছিল বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে সেটির সভাপতি পদে বসিয়ে তার উদ্বোধন করানোর কথা ছিল বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতাকে দিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার পুজো বলে পরিচিত এই পুজোটি।
শেষ পর্যন্ত তাঁর দাদা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নেমে পুজোটিকে বিজেপির দখলমুক্ত করেন। তিনি বলেও দিয়েছিলেন, পাড়ার দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদের পুজোয় শামিল করতে হবে।

[আরও পড়ুন: ভালবাসায় ভাগ বসাচ্ছে একরত্তি, ২৫ দিনের শিশুকে খুনের চেষ্টা ‘বালিকা বধূ’র]

শুধু এটিই নয়, তৃণমূলের কাছে খবর, বিজেপি দক্ষিণ কলকাতার আরও বেশ ক’টি পুজো কমিটি দখল করার পরিকল্পনা করেছে। তার মধ্যে কসবা, ভবানীপুর, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, রাসবিহারীর বেশ কিছু পুজো কমিটির নাম শোনা গিয়েছে। পাড়ার সিনিয়রদের এড়িয়ে পাকাপাকিভাবে বিজেপির হাত ধরবেন কিনা, এমন ধন্দেও
রয়েছেন অনেকে। কসবার ক’টি নামকরা পুজো নিয়ে বেশ টানাপোড়েনও চলেছে সম্প্রতি। পুজো কমিটির মন বোঝাই শুধু নয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় স্তরে দলের দীর্ঘদিনের কর্মীদেরও পথে নামানো হয়েছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement