নিজস্ব চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা নিষ্ক্রিয় হয়েছিল আধার কার্ড। আর ঠিক তার পরই CAA লাগু। পরিবারের দাবি, পর পর দুটি ঘটনায় আতঙ্কে ছিলেন নেতাজিনগরের যুবক। আর তার জেরে মানসিক অবসাদে ‘আত্মহত্যা’র সিদ্ধান্ত। নিহত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর এমনই দাবি তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন কুণাল ঘোষ, যাদবপুরের প্রার্থী সায়নী ঘোষ-সহ তৃণমূল প্রতিনিধি দল। স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। মৃত যুবকের বাড়িতে সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “ভয়ংকর আতঙ্ক থেকে আত্মহত্যা করেছেন। সিএএ, এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের মার্কেটিং করছে বিজেপি। ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করতে হবে। ধর্মের নামে ভেদাভেদ। এই ভদ্রলোক ভয়ংকর উদ্বেগে ছিলেন। উনি বলতেন ডিটেনশন ক্যাম্পে যাব না। অন্য দেশে যাব না। এর দায় যারা সিএএ, এনআরসি নিয়ে খেলছে তাদেরই নিতে হবে। এর দায় যারা আধার কার্ড বাতিল করে দিচ্ছে তাদের।”
উল্লেখ্য, টালিগঞ্জের নেতাজিনগরে মাসির বাড়িতে থাকতেন দেবাশিস সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার X হ্যান্ডেলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, আত্মঘাতী হন দেবাশিস। পরিবারের দাবি, সম্প্রতি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তাঁর। আবার তার উপর CAA লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগতেন। আর সেই আতঙ্কেই চরম সিদ্ধান্ত নেন দেবাশিস। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, “এটা তৃণমূলের রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। যেকোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। এর সঙ্গে যেটা বলছে তার কোনও সম্পর্ক আছে বলে মনে করি না। তৃণমূল লোকসভা ভোটে ব্যাপকভাবে হারবে। তাই যেকোনও খড়কুটো ধরে বাঁচতে চাইছে। এর সঙ্গে CAA-র সম্পর্ক নেই আগাম বলে দিলাম।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.