সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় দশক বাদে সিপিএমের (CPIM) যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ব্যানারে ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে। ভিড় নিয়ে আশঙ্কা শনিবার রাত পর্যন্ত ছিল, সে আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাল-সাদা জনস্রোত ভিড় করছে ব্রিগেডে। DYFI নেতৃত্বের দাবি, রেকর্ড ভিড় হবে তাঁদের সমাবেশে। সেখানেই প্রশ্ন বিরোধীদের। তৃণমূল (TMC) বলছে, বামেদের ব্রিগেডে ভিড় তো বরাবরই হয়। কিন্তু তাতে নিটফল কী হয়? আসন তো সেই শূন্যই। একই কটাক্ষ বিজেপিরও।
বামেদের ব্রিগেড প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, “ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশের নামে কিছু লোক ব্রিগেড যাবেন। কিন্তু সিপিএমকে ভোট দেবেন না। ব্রিগেড নতুন নয়। ২১ সালেও ব্রিগেড করেছে। তারপর শূন্য পেয়েছে। ব্রিগেডে লোক আসছে দেখিয়েও সিট তো সেই গিয়ে শূন্য। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম।”
কুণালের আরও সংযোজন, “যাঁরা আজ লালঝান্ডা নিয়ে হাঁটবেন, চক্ষুলজ্জায় বলতে পারবেন না, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ, যাঁদের বাড়িতে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। তাঁরা ভোট দেবেন তৃণমূলকে। আর বাকি যারা অন্ধ তৃণমূল বিরোধী তাঁদের ভোট যাবে বিজেপিতে (BJP)।” কুণালের চ্যালেঞ্জ,”সিপিএমের ক্ষমতা থাকলে ৪২টা আসনে একা লড়ুক, জামানত জব্দ হবে, শূন্য পাবে। তাহলে ব্রিগেডের ভ্যালু কী আছে, ব্রিগেডের ভ্যালু নেই।”
কুণাল একা নন, বিজেপির তরফেও এসেছে কটাক্ষ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh) কার্যত একই সুরে বাম ব্রিগেডকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “বিধানসভার আগেও ব্রিগেড করেছিলেন বামপন্থীরা। ভরিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা আসনেও জিততে পারেনি। ব্রিগেড করা আসলে বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য। বহু বছর ধরে করে। যতদিন পার্টি আছে এটা চেষ্টা করবেন তাঁরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.