দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনে ভাঙন। সোমবার কোর কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব পাল। তিনি কিছুদিন আগে নবান্নের ১৪ তলায় কাজ করতেন। ফেডারেশনের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেতা তৃণমূল কর্মী সংগঠনের অন্যতম পরিচিত মুখ। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে তাঁর আনুগত্য বদলের খবর উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।
পরিবহণ দপ্তরের কর্মী সঞ্জীবকে কয়েকমাস আগে হলদিয়ায় বদলি করা হয়। বেশ কয়েকটি দপ্তরের কর্মী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। সঞ্জীবের সঙ্গে প্রচুর কর্মী তৃণমূলের আনুগত্য ছাড়ছেন বলেই খবর। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগও হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সঞ্জীবও মুকুল রায়ের হাত ধরার কথা উড়িয়ে দেননি। তিনি জানিয়েছেন, “পে-কমিশন, কর্মীদের বাড়ি থেকে বহু দূরে বদলি-সহ বহু দাবি আমরা মেটাতে পারিনি। তাই ফেডারেশনের মুখ্য পরামর্শদাতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর আপ্তসহায়কের হাতে ইস্তফাপত্র দিয়ে এসেছি। মন্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপেও ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি। অন্য কোনও প্ল্যাটফর্মে যাওয়া নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
নবান্নের শীর্ষতলে কাজ করা একসময়ের শাসক অনুগত কর্মী তাঁর লিখিত ইস্তফাপত্রে জানিয়েছেন, “রাজ্য কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে তিন-তিনটি মিটিং করা হয়েছে। রাজ্যের ফেডারেশনভুক্ত সংগঠনগুলির সাধারণ সদস্যগণ অন্তত তিনটি বিষয়ে সরকারের সদর্থক ভূমিকা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত। প্রথমত, ফেডারেশনের যে সকল নেতৃত্ব কর্মস্থল থেকে বহুদূরে বদলি হয়েছে তাদের রি-ইনস্টেটমেন্ট। দ্বিতীয়ত, যে সকল দপ্তরের কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার হরণ করা হয়েছিল তাদের সেই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তৃতীয়ত, পে-কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আর টালবাহানা না করে অবিলম্বে ঘোষণা করা। একমাত্র কারা দপ্তরের জন্য সবুজ সংকেত ছাড়া সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কোনওরকম পরিবর্তন তথা ইতিবাচক ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আপামর সহকর্মীদের স্বার্থবাহী কিছু করে উঠতে না পারার বিবেক যন্ত্রণায় আমি আগামী সভা থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন প্রার্থনা করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.