Advertisement
Advertisement
Tigress Jinnat

বিদায় বাংলা, বর্ষশেষের রাতে ওড়িশা পাড়ি ‘জিনাতে’র

সোমবারের মতো মঙ্গলবারও কোনও মাংস দাঁতে কাটেনি সে। 

Tigress Jinnat returning to Simplipal

আলিপুর চিড়িয়াখানায় জিনাত। নিজস্ব চিত্র

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 31, 2024 5:43 pm
  • Updated:December 31, 2024 9:01 pm  

নিরুফা খাতুন: বছরের শেষ দিনেই নিজের ডেরায় ফিরছে ‘জিনাত’। মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ বনদপ্তরের গাড়িতে চেপে রওনা দেয় সে। বাঘিনিকে নিজের ঘরে পৌঁছে দিতে করা হয়েছে গ্রিন করিডোর।

এদিন সকালে পশু চিকিৎসালয়ের সুইস খাঁচায় ছাড়া হয় সিমলিপালের বাঘিনি জিনাতকে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল মুরগি, পাঁঠা এবং মহিষের মাংস। তবে কোনও মাংসই সে ছুঁয়েও দেখেনি। সূত্রের দাবি, আজ রাতেই সিমলিপালের জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দিল বাঘিনি। নতুন বছরের সকালেই নিজের ডেরায় সে পৌঁছে যাবেই বলে মনে করা হচ্ছে।  

Advertisement

অন্তত এক মাস ধরে তিন-তিনটে রাজ্যে প্রায় চারশো কিলেমিটার সফর। শয়ে শয়ে বনকর্মীকে নাকানিচোবানি খাইয়ে রবিবার বাঁকুড়ার জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয়ে খাঁচাবন্দি হওয়ার পরও দাপট কমেনি বাঘিনী জিনাতের। রবিবার মাঝরাতে তাকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় এনে সেখানকার পশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালের মধ্যে ঘুমের রেশ কাটিয়ে সে ফের চনমনে হয়ে ওঠে। দুপুরে লোহার খাঁচার ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে পা বের করে রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়েছে! শুনে হাঁফ ছেড়েছিলেন বনকর্তারা। বাঘিনির গর্জনই বুঝিয়ে দিয়েছে, শারীরিকভাবে সে একেবারে তরতাজা। তবে অরণ‌্য ছেড়ে বদ্ধ খাঁচায় এসে মন ভার বাঘিনীর। যে কারণে খাবারেও অনীহা। এদিন সকালে চিকেন দেওয়া হলেও মুখে তোলেনি। এতে অবশ‌্য অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের বক্তব‌্য, এটা সাময়িক। জঙ্গলে শিকার করেও সে খেয়েছিল। তার পেট ভরা থাকতে পারে। তাই এদিনও চিড়িয়াখানার দেওয়া মাংস সে ছুঁয়েও দেখেনি। এবার তার ঘরে ফেরার পালা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement