Advertisement
Advertisement

বাড়ি বসেই বেতন গুনছেন অনেকে, ক্ষোভ হাওড়ার রেলকর্মীদের মধ্যে

অভিযোগ, বেতনের একাংশ দিলেই মিলছে বাড়ি থাকার সুবিধা।

Ticket checkers at Howrah station alleged bias in duty distribution
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 30, 2020 3:08 pm
  • Updated:May 30, 2020 4:12 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: ঝুঁকি নিয়ে কেউ ট্রেনে টিকিট পরীক্ষা করছেন। কেউ বা লকডাউন উপভোগ করছেন বাড়ি বসেই। অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন তুলছেন এভাবেই। এই অভিযোগে, হাওড়া টিকিট চেকিং স্টাফদের মধ্যে শুরু হয়েছে চরম বিক্ষোভ। বিশ্বজুড়ে যখন করোনা আতঙ্ক দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে, তখন চেকিং স্টাফদের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের পক্ষপাতিত্ব চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে কর্মীদের মধ্যে। টিকিট পরীক্ষকদের একাংশ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। কর্মী সংগঠনগুলি এই পক্ষপাতিত্ব অভিসন্ধিমূলক বলে মনে করেছে।

[আরও পড়ুন: দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন, মুম্বই থেকে ফেরার পথে রহস্যমৃত্যু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের]

টিকিট পরীক্ষকদের অভিযোগ, হাওড়া সিআইটি জি-র আওতায় ৫৫৪ জন চেকিং স্টাফ রয়েছেন। এর মধ্যে এনরোল ৩৭০ জন। যার মধ্যে ২৫২ জন টিটিই, সিআইটি। যারা মূলত দূরপাল্লার গাড়ি নিয়ে যান। শহরতলীর ট্রেনের জন্য রয়েছেন ৮৪ জন। অফিস ও অন্য জায়গায় ৩৪ জন জাজ করছেন। অভিযোগ, ১২ মে থেকে এসি স্পেশ্যাল চালু হলেও সেই ট্রেনে এতদিনে মাত্র ৫৬ জন টিকিট পরীক্ষকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। যাঁরা ট্রেনগুলিতে কাজ করেছেন তাঁদের ক্ষোভ, ১৬৮ জনকে স্পেশ্যাল ট্রেনে পাঠানো হচ্ছে না। যাঁদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশজন ভিনরাজ্যে বাড়িতে রয়েছেন। রাঁচি, পাটনা, গয়া, বক্সারে থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন তুলছেন। কর্মী সংগঠনগুলি এর পিছনে অভিসন্ধি দেখছে।

Advertisement

এধরনের পক্ষপাতিত্ব কেন? চেকিং স্টাফদের কথায়, ঘরে বসে বেতনের একটা অংশ দিয়েই অনেকে খালাস পেয়ে যাচ্ছেন। যাঁরা এই কাজের বিরোধী তাঁদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বারবার। সব কর্মীকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডিউটি দিলে চেকিং ডিউটি করে অনেকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন। কিন্তু সবাইকে ট্রেনে না পাঠানোয় একাংশ কর্মীকে বার বার যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে চেকিং স্টাফরা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনে সমাজিক দূরত্ব মানা হয় না। পাশাপাশি স্যানিটাইজার নিন্মমানের। গ্লাভসে হাত ঢোকালেই কেটে যাচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারের অনুপযুক্ত। করোনার মতো ভয়ানক পরিস্থিতিতে এধরণের পক্ষপাতিত্ব বেআইনি বলে জানিয়ে কমার্শিয়াল কর্তারা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সবাইকে কাজে লাগানো হবে।

[আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা, চাপ কমাতে বর্ধমানে এবার নয়া কোভিড হাসপাতাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement