নব্যেন্দু হাজরা: জৈষ্ঠের শুরুতেই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। সকাল থেকেই গনগনে রোদ। বেলা বাড়তেই বাড়ছে অস্বস্তি। ঝরছে ঘাম। এই পরিস্থিতিতে চাতকের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে সকলে, কবে একটু ঝড়-বৃষ্টি হবে? মিলবে সামান্য স্বস্তি?
হাওয়া অফিসের বুধবার সকালের আপডেট বলছে, দিনভর চোখ রাঙাবে প্রখর রৌদ্রতাপ। এদিনও আবহাওয়া থাকবে অস্বস্তিকর। ভ্যাপসা গরমে ঘামবে শহরবাসী। তবে স্বস্তি মিলতে পারে বিকেল বা সন্ধেয়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টি (Thundershower) অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে রেহাই দিতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা (Kolkata) ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে। সামান্য কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। শহরবাসীর রাতের ঘুমটা অন্তত স্বস্তিতে হতে পারে, বলছে হাওয়া অফিস।
এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অস্বস্তি বাড়াতে পারে আদ্রর্তা। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে অনেকটাই বেশি। মঙ্গলবারের সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি। রাতের দিকে কোথাও কোথাও ধুলোর ঝড় ওঠে। সামান্য স্বস্তি মিলেছিল। তবে রাত বাড়তেই উধাও হয়েছে সাময়িক স্বস্তি।
কয়েকদিনের প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ঘরে থেকেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন সকলে। এসবের মাঝেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ২৩মে রবিবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। যার নাম ‘যশ’। এর জেরে চলতি মাসের শেষে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর তীব্রতা আমফানের থেকেও বেশি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যবারের তুলনায় খানিকটা আগেই এবার বর্ষা প্রবেশ করবে দেশে। কেরলে বর্ষা প্রবেশ করার কথা চলতি মাসের শেষে। ১ জুন বর্ষা প্রবেশ করবে দেশে। বাংলায় বর্ষা ঢুকতে পারে ৮ জুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.