স্টাফ রিপোর্টার: রাতভর শহরে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। ফের কালবৈশাখীতে স্বস্তি পেলেন শহরবাসী। এক ধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ নামল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
[শহরের বুকেই প্রতারণা চক্র, তদন্তে লালবাজারের সাইবার সেল]
চৈত্র-বৈশাখে সন্ধ্যা আকাশ ভেঙে ঝড়-বৃষ্টি নামবে। সেটাই তো স্বাভাবিক। নিত্য দিনের এই সান্ধ্যকালীন দুর্যোগই কালবৈশাখী নামে পরিচিত। সোমবার রাতের তুমুল ঝড়-বৃষ্টিও কালবৈশাখীই ছিল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় ৩০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো বাতাস। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘণ্টায় ৬০-৭০কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইলে তাকে কালবৈশাখী বলা হয়। সোমবার রাতে তেমন দুর্যোগ নেমেছিল। আর এই তুমুল ঝড়-বৃষ্টির কারণে আপাতত গুমোট গরমের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন শহরবাসী। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার দিনভর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঝড়-বৃষ্টির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ২০.০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার রাতে ফের কালবৈশাখী হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
[‘চার আনা জ্ঞান নেই আপনাদের’, শুভব্রতর কথায় চিকিৎসকদের চক্ষু চড়কগাছ]
হাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সর্বত্র ঝোড়ো বাতাস বইবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও হতে পারে। আবহবিদদের ব্যাখ্যা, গরমকালে ভূ-স্তরের উপরিভাগের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ে। জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে উপরে ওঠে যায়। শূন্যস্থান পূরণ করতে দ্রুত বেগে ঝোড়া বাতাস বইতে থাকে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল সোমবার রাতে। তুমুল ঝড়-বৃষ্টি নেমেছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে। কালবৈশাখি হয়েছিল হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া-সহ প্রায় সর্বত্রই। আবহবিদদের কথায়, ‘মধ্যপ্রদেশ থেকে দক্ষিণবঙ্গের মাঝ বরাবর একটি গভীর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। সেই ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী হওয়াতেই এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ।‘
[ন্যাশনালে ধরা পড়ল ৪২ ‘ভূত’, হুমকির মুখে ‘ওঝা’রা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.