ফাইল ফটো
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার পর বাংলা বন্ধের নামে রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের তাণ্ডবের দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ শুধু দায় এড়ানোই নয়, প্রকাশ্যে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি ‘অহিংসার পথে’ বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা৷
বাংলা বন্ধের প্রসঙ্গে তুলে বৃহস্পতিবার কলকাতায় দলের রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘বন্ধের দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনায় বিজেপি যুক্ত নয়! তৃণমূলই অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটিয়ে বিজেপিকে বদনাম করতে চাইছে৷ বিজেপি হিংসার বিরুদ্ধে৷ অহিংসার পথে৷’’ এদিন তিনি পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ কৈলাসের বক্তব্য, ‘‘যেসব পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে তাঁদের সতর্ক করছি।’’ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শাসকদলকে কৈলাসের বার্তা, ‘‘জোর করে আটকে বিজেপিকে ভয় দেখানো যাবে না। বিজেপি এতে ভয় পায় না।’’
[শহরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু শিশুর, মারণ জ্বরের আতঙ্ক সর্বত্র]
ইসলামপুরকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিজেপির আন্দোলন যে চলবে তাও এদিন জানিয়ে দেন বিজয়বর্গীয়৷ এদিন দলের রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে কৈলাস ছাড়াও ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ইসলামপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আজ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে অনশন-অবস্থান কর্মসূচি করছে বিজেপির মহিলা মোর্চা৷ রয়েছেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ সকালে অবস্থান মঞ্চে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
[একজনকে ডেকে তাঁকেই নিয়োগ, যাদবপুরে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদ নিয়ে বিতর্ক]
বুধবার বন্ধের নামে বিজেপির তাণ্ডবের দায় হঠাৎ কেন অস্বীকার করলেন গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় এই নেতা৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, বুধবার ইতালির মিলান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি পর সুর বদল বিজেপির৷ আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিধানসভায় পাস হওয়া আইন দ্রুত কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ ফলে মনে করা হচ্ছে, বন্ধের নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জেরে বিজেপির ঘাড়ে চাপানো হতে পারে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দায়৷ এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও সম্পত্তির মূল্যায়ন করিয়ে তার নথি পেশ করা হবে আদালতে৷ আইন অনুযায়ী, হামলার শাস্তি ও জরিমানা আদায়, দুই প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলবে৷ ফলে, আইনি প্রক্রিয়ার উদ্যোগ শুরু হতেই বন্ধের দায় এবার তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে দোষমুক্ত হওয়ার চেষ্টা গেরুয়া শিবিরের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.