সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার পরই নবান্নে রাজ্যের একাধিক আর্থিক প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দুরন্ত বৈপ্লবিক কর্মসূচি’ নাম দিয়েছেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের ২.৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পের নাম মাটির সৃষ্টি। গ্রামের গরিব মানুষকে আর্থিক সঞ্জীবনী দিতে পারে এই ঘোষণা।’
তিনি জানিয়েছেন, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫০ হাজার একর জমি এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৬,৫০০ একর জমিতে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ‘বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান। জঙ্গলমহলের এই জেলাগুলিতে অনেক জমি পড়ে রয়েছে। সরকারের ও কৃষকেরও। মাটি খুব রুক্ষ বলে কৃষকরা কিছু করতে পারেন না। আমরা প্ল্যান করেছি, এই ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষ, পশুপালনের মতো কাজ চলবে। স্থানীয় চাষিদের দশ-কুড়ি একর ও সরকারি জমি নিয়ে মাইক্রো প্ল্যান তৈরি করা হবে, কো-অপারেটিভ গড়া হবে, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগানো হবে। কোনও ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে না। ১০০ দিনের কাজে লাগানো হবে।’
এদিন করোনা মোকাবিলায় সেন্টিনেল সার্ভের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ডেঙ্গুর মতো করোনাও তার রূপ বদলাচ্ছে। গতিবিধি বদলাচ্ছে। আগামিদিনে ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি কী হবে, তা জানতে ও ভবিষ্যতে করোনা আটকাতে কী কৌশল নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করতে একটি সার্ভে বা সমীক্ষা করা হবে। যাকে বলা হয় সেন্টিনেল সার্ভে। কেন এই সমীক্ষা, সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা করার কারণ প্রচুর মানুষ রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। যাঁরা ফিরতে শুরু করেছেন। এরপর আরও ফিরবেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মুম্বই, গুজরাট, দিল্লি থেকে ফিরবেন। এখন এইসব জায়গায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই অনেকেরই করোনার সংক্রমণ থাকবে বলে আশঙ্কা। সেই কারণেই করোনা রুখতে একটা বড়সড় সার্ভে জরুরি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.