সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বাংলা৷ সংস্কৃতির ধারক-বাহকের এহেন অপমান ভাল চোখে দেখছেন না কেউই৷ অথচ নিজের দল তো বটেই, পরিবর্তে আপামর বঙ্গবাসীর এক্কেবারে বিপরীতে গিয়ে এই ঘটনাটিকে ‘ক্ষুদ্র’ বলে বিতর্ক বাড়ালেন মুনমুন সেন৷ রবিবার ভোটদানের পর আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর একটি অতি ক্ষুদ্র ঘটনা৷ গত পাঁচ বছরে উত্তরপ্রদেশ কত সন্ত্রাস, তা নিয়ে কেউ আলোচনা করেন না৷ অথচ বাংলার এই ছোট্ট ঘটনা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই৷’’ তাঁর এমন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েই উঠেছে সমালোচনার ঝড়৷
সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের আগে গত মঙ্গলবার শহরে ভোটপ্রচারে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতার প্রচারের সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহানগরী৷ ব্যানার, ফেস্টুন ছেঁড়ার মধ্য দিয়েই অশান্তির সূত্রপাত৷ অভিযোগ, বিজেপি কর্মীসমর্থকরা ভাঙচুর করে নির্বাচন কমিশনের গাড়িও৷ অশান্তি হলেও যদিও দুপুরে রোড শো শুরু হয়৷ সন্ধের দিকে অমিত শাহের পিছু পিছু দলীয় কর্মী সমর্থকরা পৌঁছান কলেজ স্ট্রিটে বিদ্যাসাগর কলেজের কাছে৷ সেখানেই আবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরদের তাণ্ডবের জেরে ভেঙে যায় ওই কলেজের বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি৷ যদিও বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় জড়িত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই৷ যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন৷ জনসভা হোক কিংবা কবিতার মাধ্যমে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের নেপথ্যে বিজেপিই দায়ী করেছেন তিনি৷ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা লিখে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ এমন সমাজ সংস্কারকের মূর্তি ভাঙচুর অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা বলেই দাবি করেছেন তিনি৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে দলের অবস্থান অগ্রাহ্য করে এবং সর্বোপরি একজন বাঙালি হয়েও মুনমুন সেন এহেন মন্তব্য করলেন তা নিয়েই চলছে জোর আলোচনা৷
আসানসোল কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন অশান্তি প্রসঙ্গে মুখ খুলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন মুনমুন সেন৷ ‘বেড টি দেরিতে পাওয়ায় ঘুম ভাঙেনি’ মন্তব্য করে রীতিমত হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ তারপরেও আবারও এহেন মন্তব্যের জন্য তাঁকে সমালোচিত হতে হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.