Advertisement
Advertisement

Breaking News

Indian jawan

এলোপাথাড়ি গুলির মোকাবিলা, পাক জঙ্গি নিকেশ করে সাহসিকতার মেডেল পেলেন বঙ্গতনয়

বুক চিতিয়ে কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন এই মেজর।

This Indian jawan has got bravery medal as he fought against terrorism | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:February 18, 2021 9:04 pm
  • Updated:February 19, 2021 1:05 pm  

অর্ণব আইচ: পাক সীমান্তের কাছে এসেই বুঝেছিলেন, সামনে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যু। হঠাৎই ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে এল জঙ্গিদের গুলি। কোনওমতে নিজেকে আড়াল করে অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে চালাতে শুরু করলেন সেনা আধিকারিক। তাতেই মৃত্যু হল এক জঙ্গির।

বুক চিতিয়ে কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন এক বঙ্গতনয়। বুধবার সেনা অফিসার মেজর সৈকত শেখর সর্দার পুরস্কৃত হলেন কলকাতায়। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে। এখন তিনি কলকাতায় কর্মরত। এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে সাহসিকতার মেডেলে পুরস্কৃত করলেন ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এন সি লেফটন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। এছাড়াও ‘গ্যালানট্রি’ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন মেজর বিনীত কুমার, মেজর মোহিত খেরে, নায়েক সুবেদার প্রীতম সিং, সামশের সিং প্রমুখ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ, হাই কোর্টে দায়ের মামলা]

সেই দিনটার কথা এখনও ভোলেননি মেজর সৈকত সর্দার। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে গুরেজ ভ্যালিতে পোস্টিং ছিলেন ওই সেনা আধিকারিক। কাশ্মীরে ছবির মতো ওই উপত্যকায় ডিউটি ছিল তাঁর। গুরেজ উপত্যকায় রয়েছে পাক সীমান্ত। সেখানে নিত্য কড়া নজরদারি রাখতে হয় সেনাবাহিনীকে। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই রাতে সেনা গোয়েন্দাদের কাছে থেকে সৈকতরা জানতে পারেন যে, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের একটি টিম অনুপ্রবেশ করতে চলেছে কাশ্মীরে। সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয়ে যান সেনারা। রাতের অন্ধকারে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেজর সৈকত শেখর সর্দার তাঁর সঙ্গে পাঁচজন সেনাকর্মীর টিম নিয়ে টহল দিতে থাকেন সীমান্ত বরাবর।

হঠাৎই রাতে দূরবীনে দূর থেকে দেখতে পান, সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে পাঁচ ব্যক্তি। সেনারা তাদের চ্যালেঞ্জ জানান। তাদের থামতে বলেন। ধরার জন্য এগিয়ে যান। হঠাৎই উলটোদিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে বুলেট। মেজর সৈকতরা বুঝতে পারেন যে, পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালাতে শুরু করেছে। সেনা সদস্য ও আধিকারিকরা যে যার মতো পজিশন নিয়ে নেন। সীমান্তে বুকে হেঁটে তাঁরা এগিয়ে যেতে থাকেন জঙ্গিদের দিকে। তাঁদের মাথার উপর ছুটে যেতে থাকে মারণ বুলেট। মেজর সৈকত সর্দার তাঁর স্নাইপার থেকে পালটা গুলি চালাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে গুলির লড়াই। তাঁর নজর ছিল, যেন তাঁর টিমের কেউ আহত না হন। ওই এনকাউন্টারে সেনাদের কেউ আহত হননি। শেষ পর্যন্ত গুলির লড়াই শেষ হলে দেখা যায়, পড়ে আছে রক্তাক্ত এক জঙ্গির দেহ। আহত অবস্থায় পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায় বাকিরা। লড়াই করে নিজের টিমকে বাঁচিয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গিকে নিকেষ করার কারণেই পুরস্কৃত হলেন এই বাঙালি পুলিশ অফিসার।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরও সক্রিয় রাজ্যপাল, SSKM-এ গিয়ে দেখে এলেন জাকির হোসেনকে]

এদিন সামশের সিং জানান, কাশ্মীর উপত্যকায় সংকীর্ণ রাস্তায় তিনি জঙ্গিদের মুখোমুখি হন। গ্রেনেড ছুড়ে দুই জঙ্গিকে শেষ করেন তিনি। সাহসিকতার পুরস্কার হিসাবে গ্যালানট্রি মেডেল পেয়েছেন সামশের। চিনের সীমান্তে লড়াইয়ের জন্যও পুরস্কৃত হয়েছে সেনাদের কয়েকটি ইউনিট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement