ফাইল ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: অভিনব কায়দায় ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় চুরির চেষ্টা। রীতিমতো টিকিট কেটে যাত্রী সেজে সফর চোরের। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। এই ঘটনায় পাঁচটি মোবাইল-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে শিয়ালদহগামী পদাতিক এক্সপ্রেসের এ-২ কামরায় যাত্রা করছিলেন চিরঞ্জীব চক্রবর্তী। মাঝ রাতে তিনি লক্ষ করেন তাঁর মোবাইলটি খোয়া গিয়েছে। হইচই করতে একই কামরার যাত্রী মানিক চট্টোপাধ্যায়, শ্রীজিতা বিশ্বাস, বি-৩ কামরার যাত্রী সৌরভ চৌধুরী, এ-১ কামরার যাত্রী রূপলেখা পোদ্দার প্রত্যেকেই দেখেন যে তাঁদের মোবাইলও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ঘুমনোর আগেও তাঁরা মোবাইল ব্যবহার করে ব্যাগে বা মাথার পাশে রেখেছিলেন। তখনই চুরির কথা মাথায় আসায় তাঁরা রেলের সুরক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগের জায়াগায় বিষয়টি টুইট করে জানান।
এদিকে, যাত্রীদের অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় রেল। সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ কন্ট্রোল ওই ট্রেনের এসকর্ট বাহিনীকে নির্দেশ দেয়, ট্রেনের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। যাতে কেউ পালাতে না পারে। এরপর টানা তল্লাশিতে ধরা পড়ে বি-২ কোচের ২৩ নম্বর বার্থের যাত্রী। তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয় পাঁচটি সদ্য চুরি যাওয়া মোবাইল। ওই যাত্রীর নাম মহম্মদ আল আমিন। মালদহ কালিয়াচকের গয়েশবাড়ির বাসিন্দা সে। মালদহ থেকে শিয়ালদহের রিজার্ভ টিকিট কেটে একেবারে যাত্রীর ঢঙে পদাতিক এক্সপ্রেসে যাত্রা করছিল। রাতে সুযোগ বুঝে যাত্রীদের মোবাইল চুরি করে। ধৃতকে শিয়ালদহে এনে জিআরপির হাতে তুলে দেয় আরপিএফের এসকর্ট বাহিনী।
উল্লেখ্য, ট্রেনে চুরি করতে একের পর এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করে চোর এবং জালিয়াতরা। এবার রীতিমতো টিকিট কেটে যাত্রী সেজে রাতের অন্ধকারে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করে ধৃত। আর এহেন ঘটনা আসলে কোনও একজন ব্যক্তির কাজ নয়। এটা সংগঠিত অপরাধ বলেই মনে করছেন অনেকে। ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় চুরির এহেন ঘটনায় রীতিমতো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে রেলের তৎপরতার প্রশংসাও করেছেন যাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.