সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন পুরভোটে আসন রফার কাজটা শেষ করে ফেলল সিপিএম-কংগ্রেস। আগামী সপ্তাহের শেষে কলকাতার জন্য বামেদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তারপরই আলিমুদ্দিন থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। অন্তত এমনটাই দাবি সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরভোটে অন্তত ৭০টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে সিপিএম। বাকি ৩০-৩৫টি ওয়ার্ড ছাড়া হবে কংগ্রেসের জন্য। অবশিষ্ট ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে বামেদের শরিক ১৭টি দল। লিবারেশন বা নকশালপন্থীরাও পুরভোটে লড়াই করতে চলেছে বলে খবর।
আবার বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপির মতো ছোট দলকেও ওয়ার্ড ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা জেলা সিপিএমের উদ্যোগে ১৭টি সহযোগী দল আালোচনায় বসে। সেখানেই স্থির হয়েছে যে লিবারেশন, পিডিএসও এবার লড়বে পুরভোটে। নকশালপন্থী লিবারেশনের এক নেতা সোমবারই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, “সিপিএম ও সহযোগী দলগুলির সঙ্গে কর্মসূচিতে থাকতে রাজি।” পাঁচ বছর আগে, ২০১৫এর পুর নির্বাচনে সিপিএম যতগুলি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল এবার তার অর্ধেক আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে জোটের স্বার্থে। একইরকমভাবে শরিক দলগুলিকেও ওয়ার্ড ছাড়তে হবে কংগ্রেসের জন্য।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সিপিএম ও অন্য বাম দলগুলির সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।” সোমেনবাবুর কথা থেকেই স্পষ্ট, লোকসভা ভোটের মতো আসন নিয়ে একরোখা মনোভাব দেখাতে রাজি নয় প্রদেশ কংগ্রেস শিবির।” প্রায় একই সুরে কলকাতা জেলা সিপিএমের সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেছেন,“প্রার্থী ঘোষণা হলেই জোরকদমে যৌথপ্রচার শুরু হবে।” দুই শিবিরেরই বক্তব্য, এবারের পুরভোটে পরিষেবা নিয়ে প্রচার চালানোর পাশাপাশি নারদা ও অন্যান্য ইস্যুকেও সামনে আনবে জোট শিবির।
এদিকে, সিপিএম-কংগ্রেসের এই আসন রফা নিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “ওঁরা তো লর্ড ক্লাইভের আমল থেকেই জোট গড়ে লড়ছে। নতুন আর কী?” তৃণমূল থেকে আসন্ন পুরভোটে বিরোধীদের এই জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ, তা তাঁর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.