অর্ণব আইচ: এক যুবকের বিকৃত লালসার শিকার নিরীহ একাধিক সারমেয়। অভিযোগ, হরিদেবপুরের ওই যুবক দিনের পর দিন ধর্ষণ (Rape) করেছে এলাকার বহু কুকুরকে। যার জেরে বেশ কয়েকটি কুকুরের মৃত্যুও হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বাকি পাঁচটা জায়গার মতো হরিদেবপুরের (Haridevpur) উত্তরপাড়ার বর্মাকলোনির রাস্তাঘাটেও দিনভর ঘুরতে দেখা যায় সারমেয়দের। সম্প্রতি স্থানীয়দের নজরে পড়ে, দু-একদিন অন্তরই একটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পশুপ্রেমীদের কানে বিষয়টি গেলেও নেপথ্যের কারণ তাঁরাও বুঝতে পারেননি। এরপর সোমক চট্টোপাধ্যায় ও তিতাস মুখোপাধ্যায় নামে ২ পশুপ্রেমীকে বর্মাকলোনির একজন জানান, এলাকার সারমেয়গুলিকে একজন ইনজেকশন দিয়ে যায়। বিষয়টিকে প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে একজনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন তাঁরা। ওই ব্যক্তি একদিন দেখতে পান, কয়েকমাস বয়সের একটি সারমেয়কে খেতে দিল এলাকারই যুবক রঞ্জন বাড়ুই। এরপর তাকে দেয় ইনজেকশন সে। এতেই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ওই প্রাণীটি। সেই সময় সারমেয়টিকে সঙ্গে নিয়ে যায় ওই যুবক। কৌতুহলবশত যুবককে অনুসরণ করতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয় ওই ব্যক্তির কাছে। প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযোগ, ওই যুবক ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে ধর্ষণ করত সারমেয়গুলিকে। এরপরই স্পষ্ট হয় এলাকার কুকুর মৃত্যুর কারণ। পশুপ্রেমীদের দাবি, ওই যুবকের অত্যাচারের কারণেই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকার একাধিক সারমেয়র শরীরে মিলেছে ধর্ষণ ও মারধরের চিহ্ন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই মঙ্গলবার অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় উত্তেজিত জনতা। সেই সময় বিছানায় একটি সারমেয়র সঙ্গেই মেলে রঞ্জন। এরপর অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করে মুখে কালি লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত রঞ্জন। ছেলের আচরণে পরিবারের সদস্যদের মনে সন্দেহ তৈরি হলেও তাঁরা কখন এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেননি বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.