সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিলচর বিমানবন্দরে দলীয় প্রতিনিধিদের শারীরিক নিগ্রহের প্রতিবাদে দু’দিনের কালা দিবস পালনের ডাক তৃণমূলের৷ ‘দানবীয় সরকার, আর নেই দরকার’ এই স্লোগান তুলে আগামী শনি ও রবিবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, শহরে, ব্লকে কালা দিবস পালনের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ শুধু কালা দিবসে পালনের পাশাপাশি, আগামী সোমবার থেকে অসম ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিতে নামছে তৃণমূল৷
আজ, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মহাসচিব বলেন, ‘‘অসমে যা চলছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রতিবার জানাতে গিয়েছে আমাদের প্রতিনিধিরা শিলচর বিমানবন্দরে অসম পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছে৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা আগামী শনি ও রবিবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব৷’’
[শহরে ফিরে অসম প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা]
সাংসদ-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করে শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দিলেও অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাঙালিদের বাদ পড়া ইস্যুতে পিছু হটছে না তৃণমূল। ১৭ ঘণ্টা শিলচর বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর কলকাতায় ফিরেই শুক্রবার সকালে আন্দোলনে পিছু না হটার কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। দলের নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অসমের গরিব ও বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার যে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল তা জারি থাকবে। আবার আমরা অসম যাব। বিমানবন্দরে আটকে রেখে প্রতিবাদ দমানো যায় না। বিজেপি অসমে নাগরিকত্ব তালিকা থেকে অবিজেপি মানুষদের বাদ দিয়ে দাঙ্গা বাধাতে চাইছে। ভয় দেখিয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত প্রকৃত ভারতীয়দের দমিয়ে রাখার রাজনীতি করছে গেরুয়া পার্টি। তৃণমূল সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।”
আগামী সোমবার কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে অসমের তৃণমূল নেতাদের। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই দলের পরবর্তী কর্মসূচি এবং অসমের তৃণমূলের আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হবে বলে এদিন কলকাতায় জানিয়েছেন ওই রাজ্যের দলীয় পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম। টানা ১৭ ঘণ্টা শিলচর বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর এদিন সকালে কলকাতা ফিরে আসেন দলের ছয় প্রতিনিধি। ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নাদিমুল হক, মহুয়া মৈত্ররা। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে আগের দিন অসম পুলিশের হাতে শিলচরে কীভাবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা হেনস্তার শিকার হয়েছেন তা উল্লেখ করেন৷
[‘অসমে বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে’, প্রতিনিধিদের আটকানোয় ক্ষুব্ধ মমতা]
কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতে আইনের শাসন রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “এখন গণতন্ত্র বিপন্ন।” অভিযোগ, জোর করে বিমানে তোলা হয়। ধরনায়ও বাধা দেওয়া হয়েছে। সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “শিলচর বিমানবন্দরে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দেখানো হয়, তাতে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র নেওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা কি ক্ষেপণাস্ত্র না মারণাস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলাম! পুলিশকে ব্যাগ চেক করতেও বলি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.