সন্দীপ চক্রবর্তী: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই ধিকিধিকি আগুন জ্বলছিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর বিল আইনে পরিণত হতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে বাংলায়। জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। শুক্রবার বেলা গড়াতেই তা রূপ নেয় তাণ্ডবের। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি রেল স্টেশন, ট্রেন, দাঁড়িয়ে থাকা বাস। উলুবেড়িয়া, বাগনান, বাসুলডাঙা, বেলডাঙা, আরামবাগ…তালিকা লম্বা। সর্বত্র উন্মত্ত জনতার হাতে সরকারি সম্পত্তি তছনছ হয়। অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর, বাদ যায়নি কিছুই। শনিবারও তার রেশ চলছে। এই পরিস্থিতি রাজ্যবাসীকে সংযত ও শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন, নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পথে গণজাগরণ করুন, কিন্তু আইন মেনে। এদিনও একইভাবে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখলেন, ‘গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন, কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগেও বাংলায় কোথাও অশান্তি-বিক্ষোভ হলে দক্ষ প্রশাসকের মতো প্রশাসনিক আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। কড়া হাতে দমন করেছিলেন হিংসা। এবারও সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ মমতা। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে অশান্তির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অশান্তির প্রচুর ভিডিও, ছবি এবং উসকানিমূলক পোস্ট হচ্ছে। ভুয়ো খবরও রয়েছে তার মধ্যে অনেক। সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.