Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুরভোট

আলাদাভাবে ভোট নয়, পুরপ্রশাসকের মেয়াদবৃদ্ধিতে বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার

বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই এনিয়ে বিল আনার ভাবনা৷

The state Govt. wants to pass bill for incrasing tenure of Administrators
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 27, 2019 5:41 pm
  • Updated:June 27, 2019 5:42 pm  

রাহুল চক্রবর্তী: মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, আগে আগে কোথাও পুরভোট হবে না৷ আজ একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্ধারিত সময়েই রাজ্যের সর্বত্র একসঙ্গে পুরসভার ভোট হবে৷ মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বসানো হবে বলে সূত্রের খবর৷ এমনকী এই সংক্রান্ত বিল আসতে চলেছে বিধানসভার চলতি অধিবেশনে৷

[ আরও পড়ুন: সামাজিক মতে বিয়ে করতে হবে, প্রেমিকের বাড়ির সামনে আমরণ অনশনে তরুণী]

রাজ্যের মোট ১৭টি পুরসভা ও পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ সেখানে প্রশাসক বসিয়ে আপাতত কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার৷ এখন এই প্রশাসকেরও মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাই বিল আনার মাধ্যমে তা করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে বিধানসভার অধিবেশনে৷ চলতি অধিবেশনেই বিলটি আনার তোড়জোড় হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ বৃহস্পতিবার অধিবেশনে আলোচনা হয়েছে এনিয়ে৷ প্রথম বিলটি – কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল৷ এর মাধ্যমে সরকার প্রয়োজনমতো প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে৷ দ্বিতীয়টি, ওয়েস্টবেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল৷ এতে ভোটে না জিতলেও, কাউকে মেয়র পদে বসানো যাবে৷ তবে দায়িত্ব নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হবে৷ তৃতীয় বিল- হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল৷ কলকাতা কর্পোরেশনের মতো রাজ্যের বাকি ৫ কর্পোরেশনে মেয়র সংক্রান্ত নিয়ম লাগু এবং অন্যান্য পুরসভায় প্রশাসকের মেয়াদবৃদ্ধির প্রস্তাব থাকছে নতুন এই তিন সংশোধনীতে৷

Advertisement

এপ্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের যুক্তি, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আলাদাভাবে বিভিন্ন পুরসভাগুলিতে ভোট করানো সম্ভব নয়৷ তা সময়সাপেক্ষও বটে৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনও কঠিন পরিস্থিতিও ভোটে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে প্রশাসকের মেয়াদও বাড়ানো যেতে পারে৷ তা পুরআইন সংস্কারের মাধ্যমেই সম্ভব৷ এই দিকটি মাথায় রেখেই বিধানসভা অধিবেশনে প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানোর বিল আনতে চায় রাজ্য সরকার৷

[ আরও পড়ুন: মাদক বিরোধী দিবসের মিছিলে মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব! বরখাস্ত সোনারপুরের আইসি]

আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসক বসিয়ে নির্বাচন এড়িয়ে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু নির্বাচন করতেই হবে বলে দাবি তুলেছেন বিরোধী নেতারা৷ কয়েকমাস পরই রাজ্যের বিভিন্ন পুরনিগমে নির্বাচন৷ তার প্রস্তুতিও চলছে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে অন্য কয়েকটি পুরসভাতেও প্রশাসক বসানো হতে পারে৷ চলতি অধিবেশনেই বিলটি পেশ করার ভাবনা রয়েছে৷ তবে সেক্ষেত্রে বিরোধীরা যে বিলটি খুব সহজে পাশ করতে দেবেন না, তা সহজেই অনুমেয়৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement