দীপঙ্কর মণ্ডল: তীব্র গরমের জেরে ছাত্র-ছাত্রীদের রেহাই দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ ছুটি বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে৷ তবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়ম মেনে স্কুলে যাচ্ছেন৷ কিন্তু বৃষ্টি নামায় গত কয়েকদিনে অস্বস্তি কিছুটা কমেছে৷ সিলেবাস শেষ করার কারণে শিক্ষকদের একটি অংশ ছুটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন৷ অন্য অংশটির বক্তব্য, ছুটি বজায় থাক৷ এই দু’রকম মনোভাবে বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
শনিবার বেহালায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্কুলে ছুটি চেয়ে আবেদন আসে। কিন্তু ছুটি কমানোর আবেদন আসে না। ছুটি কমাবে কি না স্কুলগুলি ভেবে দেখুক।” দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দনকুমার মাইতি এ প্রসঙ্গে বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে পঠন-পাঠন শুরু হওয়া উচিত। আইসিএসই ও সিবিএসই স্কুলগুলি সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে। আমরা স্কুল না খুললে বার্ষিক সময় সারণী সঠিক সময়ে শেষ হবে না৷”
স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কাছে স্কুল খোলার অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন চন্দনবাবু। অন্যদিকে গোটা রাজ্যে স্কুলশিক্ষায় অভিন্ন নিয়ম বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল৷ বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপনবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী বলছেন স্কুল আবেদন করলে ক্লাস সাসপেনশন তুলে নেওয়া হবে৷ কিন্তু এর ফলে গোটা রাজ্যে স্কুলশিক্ষায় অভিন্ন নীতি বজায় থাকবে না৷’’
যদিও, বর্ধিত গরমের ছুটিতে শিক্ষকদের স্কুলে হাজিরা থাকার নির্দেশকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়৷ গরমের ছুটি চলাকালীন কেন স্কুলে হাজিরা দিতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষকদের একাংশ৷ বিতর্কের অবসান ঘটাতে মাঠে নামেন শিক্ষামন্ত্রী৷ গরমের ছুটি শেষ হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হাওয়ায় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে ছুটি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ কিন্তু, এই মুহূর্তে রাজ্যে নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে মৌসুমি বায়ু৷ ফলে, তাপমাত্রা কমেছে৷ ফলে, এখন ক্লাস চালু হলে খুব একটা সমস্যা হবে না পড়ুয়াদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.