Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kolkata Municipality

শহরে পুকুর খুঁজতে গিয়ে মাথায় হাত পুরসভার, ভরাটের খবর পেলেই FIR-এর সিদ্ধান্ত

কেন এমন সিদ্ধান্ত?

The Kolkata Municipality decided to file an FIR on allegations of filling up pond | Sangbad Pratidin

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 6, 2023 10:02 am
  • Updated:September 6, 2023 10:02 am  

অভিরূপ দাস: কোথাও একই পুকুরের নাম রয়েছে দু’বার। কোথাও প্রেমিসেস নম্বর অনুযায়ী পুকুর খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেখানে এখন দো’তলা বাড়ি। কলকাতায় পুকুরের সঠিক সংখ‌্যা জানতে তাই পুকুর সমীক্ষা শুরু করল কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগ।

খাতায় কলমে এখন কলকাতা পুরসভা এলাকায় পুকুরের সংখ‌্যা তিন হাজার চারশো। মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, এই সংখ‌্যা নিয়ে ধন্দ্ব রয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ১৯৯০ সালেও কলকাতা পুর এলাকায় পুকুরের সংখ‌্যা ছিল সাড়ে আট হাজারের উপর। কিন্তু কমতে কমতে তা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই অভিযোগ করেন কলকাতার সংযোজিত এলাকায় বাম আমলে সাড়ে তিন হাজার পুকুর বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে পুকুর বোজানো ঠেকাতে কোমর বেঁধেছে পুরসভা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুলিশি ঘেরাটোপ সত্ত্বেও ধাবায় অনুব্রতর সঙ্গে দেখা, সেই কৃপাময়কে ফের তলব সিবিআইয়ের]

মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, আগের তুলনায় পুকুর বোজানো অনেকটাই কমে গিয়েছে। এলাকায় কোথাও পুকুর বোজাতে দেখলেই দ্রুত ফোন করুন পুরসভায়। (০৩৩)২২৮৬-১২১২, ২২৮৬-১৩১৩ এই নম্বরে ফোন করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করবে কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগ। যে তালিকায় নবতম সংযোজন কলকাতা পুরসভার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৭৬ নম্বর প্রেমিসেসের বিশাল জলাশয়।

পুরসভা সূত্রে খবর, সে পুকুর বুজিয়ে দিচ্ছিল অশুভ চক্র। যে বা যাঁরা পুকুর বোজাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরশুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগ। জলাশয় বোজানো হলে ওয়েস্টবেঙ্গল ইনল‌্যান্ড ফিশারিজ অ‌্যাক্ট (১৯৯৩) এর ২২ নম্বর সেকশনকে লঙ্ঘন করা হয়। মেয়র পারিষদ(পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার এদিন জানিয়েছেন, যখনই দেখবেন কলকাতার কোথাও পুকুর বোজানো হচ্ছে পুরসভাকে জানান। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনী ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, প্রতিটি এলাকায় ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো কলকাতা পুরসভার পক্ষে সম্ভব নয়। সরু গলির মধ্যে কোনও পুকুর রয়েছে কি না তা জানেন ওই এলাকার বাসিন্দারাই। মেয়র পারিষদের কথায়, কন্ট্রোলরুমের নম্বরে মধ‌্যরাতেও কেউ ফোন করতে পারেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছেন, আগামী প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে বেঁচে থাকা পুকুরগুলোকে রক্ষা করতেই হবে।

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ধূপগুড়িতে উৎসবের মেজাজ, বিক্ষিপ্ত অভিযোগ ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement