Advertisement
Advertisement
TMCP

পঁচিশেই বাঁধা পড়ুক কলেজ রাজনীতির বয়স, TMCP’র প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে চর্চা তৃণমূলে

আগামী ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৫ তম বার্ষিকী।

The age of college politics should be curbed at twenty-five, talks start before the foundation day of TMCP | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 22, 2022 10:33 am
  • Updated:August 22, 2022 10:36 am  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কলেজে ছাত্র রাজনীতির বয়স বেঁধে দেওয়া হতে পারে। দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে সেই চর্চাই চলছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) অভ্যন্তরে। যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে এই বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হতে পারে ২৫ বছরের মধ্যে। আগামী ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। দিনটি রবিবার হওয়ায় পরদিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে ২৮ তারিখ গান্ধীমূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবে নেতৃত্ব। ২০২৪-এর লড়াইকে সামনে রেখে এটি দলের অন্যতম বড় কর্মসূচি। প্রধান বক্তা মমতা। থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ দলের শীর্ষনেতৃত্ব।

এবছরই ২৪ বছর পূর্ণ করে ২৫-এ পা দেবে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনটি। যাকে সামনে রেখেই কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবেন লড়াইয়ের বার্তা। সেই দিনটিকে স্মরণ করে তাই কেন্দ্রের সরকারের বিতর্কিত ২৪টি সিদ্ধান্ত বা ঘটনাকে সামনে রেখে মঞ্চ সাজানো হচ্ছে। টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর কথায়, “নেত্রী আমাদের চব্বিশের লড়াইয়ের বার্তা দেবেন। সেই পথেই আমরা চলব। এযাবৎকালের সব থেকে বড় জমায়েত হতে চলেছে প্রতিষ্ঠা দিবসের এই কর্মসূচি।” এই সব কিছুর মধ্যেই আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ছাত্রভোটের (Students Election) প্রসঙ্গ। এবং সেই সূত্রেই নতুন কমিটি থেকে শুরু করে কলেজে ছাত্র রাজনীতির বয়সসীমার প্রসঙ্গ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৮ বছরের লড়াই নিমেষে মিথ্যে! ধর্ষকদের ‘হিরো’ হতে দেখে হতবাক বিলকিসের স্বামী]

এমন অনেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িয়ে, যাঁদের বয়স তিরিশের কোঠায়। কেউ তারও বেশি। এই বয়সের কাউকে কলেজের ছাত্র সংগঠন থেকে তুলে যুব রাজনীতিতে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দলে। দীর্ঘদিন দলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ছিলেন এমন এক সিনিয়র নেতার কথায়, “কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে যাঁরা রাজনীতি করবেন তাঁরা তরুণ। তাজা ছেলেমেয়েদেরই বারবার সামনে এগিয়ে আসতে বলেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একটা আলোচনা হয়েছে যাতে কলেজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নেতৃত্বে যিনি বা যাঁরা থাকবেন তাঁদের বয়সও নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে হতে হবে।” বছর ২০ বয়সের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা কলেজ পাস করে যান। স্নাতকোত্তর হলে আরও দু’বছর। গবেষণা করতে আরও বছর পাঁচেক। সাকুল্যে তাই কলেজে রাজনীতির বয়সের সীমা ২৫ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাই শ্রেয় বলে মনে করা হচ্ছে। যুব সংগঠনের বয়সসীমা ইতিমধ্যে চল্লিশের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রোমোটিং বিবাদে নারকেলডাঙায় অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, গুরুতর অসুস্থ বধূ]

অন্যদিকে, পাঁচ বছর ছাত্র ভোট হয়নি। নতুন কোনও নেতৃত্বও উঠে আসেনি। যাঁদের হাতে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের (College and University) রাজনীতির ভার, তাঁরা স্বাভাবিক কারণেই সেই স্তরের ছাত্র রাজনীতির বদলে নিজেদের এলাকার স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। নতুন করে ছাত্রনেতা বা নেত্রী উঠে আসছেন না। এলাকার কাউন্সিলর বা বিধায়কের হাতের পুতুল হয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষনেতৃত্ব গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছে। সূত্রের খবর, নেতৃত্ব এ নিয়ে তোড়জোড় শুরুও করতে বলেছেন। জানুয়ারির মধ্যে সেই ভোট করে নিতে পারে দল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement