সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের ধরপাকড়, সক্রিয়তা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে ভাঁটা পড়ছে না। আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে করুণাময়ীর এপিসি ভবনের সামনে থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার পর শুক্রবার সকালে ফের নতুন করে অনশনস্থল খুঁজে নিলেন বিক্ষোভকারীরা। ধর্মতলায় (Dharmatala) মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে তাঁরা অবস্থান শুরু করেছেন। এদিকে তাঁদের সমর্থনে করুণাময়ীর বিক্ষোভস্থলেই শুক্রবার দুুপুরে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন এসএফআই (SFI), ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে তাঁদের। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
পাশাপাশি ধরনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন জরুরি ভিত্তিতে। আজ সম্ভবত সেই মামলার শুনানি। ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আইনি সহায়তা করছেন বিজেপি (BJP) নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। প্রসঙ্গত, করুণাময়ীতে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর প্রথম থেকেই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মাঝরাতে করুণাময়ীর বিক্ষোভস্থলে গিয়েছিলেন বাম যুব সংগঠনের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এরপর টেট বিক্ষোভকারীদের মাঝরাতে পুলিশ তুলে দেয়। তারপর রাতারাতিই এসএফআই, ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। করুণাময়ীর যেখানে বিক্ষোভ চলছিল, এদিন বাম যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সেখানেই জমায়েত শুরু করেন। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ সেখান থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু মিছিল এগিয়ে চলে তাঁদের। পুলিশ তাঁদের ধরপাকড় শুরু করে। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজনকে।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। কোচবিহারের জেলা সম্মেলন থেকে তিনি বলেন, ”জোর করে ওরা যতবার আন্দোলন তুলে দেবার চেষ্টা করবে, ততই আরও বেশি বেশি মানুষ রাস্তায় নামবেন। কলকাতা ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনেটাকে ওরা পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল। কিন্তু ছাত্র-যুবরা ওখানে সভা করে দেখিয়ে দিয়েছেন, আরও অনেক কিছু বাকি আছে। একদিন দেখা যাবে নবান্ন থেকে আরম্ভ করে কালীঘাট পর্যন্ত বেরবার রাস্তা পাবেন না ওরা।”
অন্যদিকে, মাঝরাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৩ জনের খোঁজ মিলছিল না বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। সেই অর্ণব ঘোষ, অচিন্ত্য ধাড়া ও অচিন্ত্য সামন্ত নামে তিনজনকে বিধাননগর পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। থানা থেকে বেরিয়েই তিনজন চলে যান হাই কোর্টে। সেখানে আইনি লড়াইয়ে তাঁদের সহায়তা করছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.