সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫ টেট নিয়ে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হল। প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলাকারীদের অভিযোগকেই স্বীকৃতি দিল হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দিয়েছে মামলাকারীরা যে প্রশ্নগুলিতে আপত্তি জানিয়েছিল, তার মধ্যে ৭ টি প্রশ্নের উত্তর পর্ষদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ভুল। এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেই পুরো নম্বর দিতে হবে। এবং নতুন করে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। হাই কোর্টের রায়ে চরম অস্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক পর্ষদ।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫-তে। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। সেই পরীক্ষার মেধাতালিকাও ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু, টেটের ১১টি প্রশ্নকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কয়েকশো চাকুরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করে। অভিযোগ জানায়, যে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল তাঁর মধ্যে ১১টি প্রশ্নের ভুল উত্তর দেওয়া ছিল। সেই ১১ টি প্রশ্নের মধ্যে অন্তত ৭টি প্রশ্ন আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ভুল বলে জানিয়ে দিয়েছে হাই কোর্ট। এই সাতটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর কী হবে তাও ঠিক করে দিয়েছে আদালতের গঠন করা শিক্ষকদের কমিটি। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ওই সাতটি প্রশ্ন যারা যারা উত্তর দিয়েছেন তাদের সবাইকে পূর্ণ নম্বর দিতে হবে। এবং নতুন করে মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। এই সাতটি প্রশ্নের নম্বর পাওয়ার পর যদি পরীক্ষার্থীরা টেট কোয়ালিফাই করে তাহলে তাদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।
এর আগের শুনানিতে ওই প্রশ্নগুলির উত্তর সঠিক কিনা জানতে বিশিষ্ট অধ্যাপকদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেছিল আদালত। গত ১৯ সেপ্টেম্বররে মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিশনের সুপারিশ মতেই ৭টি প্রশ্নকে ভুল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হাই কোর্টের রায়ে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হল টেটে। কারণ ২০১৪ সালের টেটের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। নতুন করে এই ৭ টি প্রশ্নের নম্বর দিয়ে খাতা দেখতে হলে প্রচুর পরীক্ষার্থীকে নতুন করে চাকরি দিতে হবে পারে। যদিও, আদালত পর্ষদকে আংশিক স্বস্তি দিয়ে জানিয়েছে এখনই ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর খাতা পুনর্মূল্যয়নের প্রয়োজন নেই, যে কয়েকশো পরীক্ষার্থী মামলা করেছেন শুধু তাদের খাতা খতিয়ে দেখলেই হবে ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.