সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। অপেক্ষা আর মাত্র একমাসের। বাতাসে এখন পুজো পুজো গন্ধ। মা আসছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। দারুণ ব্যস্ত কুমোরটুলি। বাংলার সর্বত্র পুজো পুজো আমেজ হলেও, কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বাগবাজারের (Bagbazar) পুজোয় অন্য ছবি। প্যান্ডেল তো দূর-অস্ত, এখনও বাঁশও পড়েনি মাঠে। এই ছবি দেখে প্রশ্ন জাগতে পারে, আদৌ কি পুজো হবে?
শতবর্ষ পেরিয়েছে বাগবাজারের পুজো (DurgaPuja 2022)। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে অনেক ইতিহাস। এবছর ১০৪-তম বর্ষে পদার্পণ করছে বাগবাজারের এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। কিন্তু পুজোর আগে হঠাৎ ছন্দপতন! কমিটি গঠন নিয়ে ভোটাভুটিতে অশান্তির জেরে পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ১৯৩২ সালে সোসাইটি অ্যাক্টে নথিভুক্ত করা হয়েছিল বাগবাজারের পুজো। ১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৬, ২০১০ সালে নির্বাচন হয়। ১২ বছর পর গত রবিবার বাগবাজারের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন হয়। সেই ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করেই তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। ছেঁড়া হয় ব্যালট।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী পার্থ রায় বলেন, “বহিরাগতরা ব্যালট ছিঁড়ে দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গৌতম নিয়োগীর থেকে আমি কয়েক ভোটে এগিয়েছিলাম।” এদিকে গৌতম নিয়োগী দাবি করেন, শেষ গণনা পর্যন্ত তিনিই এগিয়েছিলেন। দু’জনের দ্বন্দ্বে পুজোর ভবিষ্যৎ কী, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে বাগবাজারের পুজোয় ছেদ পড়ুক, তা চান না উদ্যোক্তা থেকে আমজনতা কেউই। সকলের দাবি, পরিস্থিতি যাই হোক, দেবীর আরাধনা যেন বন্ধ না থাকে।
অশান্তির ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ বাগবাজার সার্বজনীনের প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমি লজ্জিত। তবে চাই পুজো হোক।” যে দুই গোষ্ঠীর অশান্তির জেরে এই পরিস্থিতি, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষ ভুলে দুর্গা আরাধনা হবে প্রতি বছরের মতোই। কিন্তু নিয়মের গেরো থাকছেই। জানা গিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত থাকলে ট্রাস্টকে দেওয়া হতে পারে পুজোর দায়িত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.