নব্যেন্দু হাজরা: ভরা পৌষে ফাল্গুনের আমেজ। তাপমাত্রার (Temperature) পারদ ঊর্ধ্বমুখী। সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল দূরে সরিয়ে রেখে হাঁসফাঁস আমজনতার। দিনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি শুরু হচ্ছে। রাতেও সেভাবে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারছেন না কেউই। তার ফলে মনখারাপ শীতবিলাসীদের।
চলতি বছর দফায় দফায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে শীত (Winter)। তবে যেটুকু সময় স্থায়ী হয়েছে, সেই সময়ে বেশ ভালই ব্যাটিং করেছে। বর্ষশেষে বেশ ভালই ঠান্ডা উপভোগ করতে পেরেছেন আমজনতা। তবে বছরের শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে শীত। গত পাঁচ দিনে প্রায় ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে কলকাতার। বৃহস্পতিবারও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। চলতি মরসুমে কী তবে আর শীতের দেখা পাওয়া যাবে না? বহু শীতবিলাসীর মনে একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাদের জন্য কিছুটা হলেও আশার খবর শুনিয়েছে আলিপুর হাওয়া দপ্তর।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সংক্রান্তিতে ফের পারদ নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আপাতত কয়েকদিন এমন আবহাওয়াই বজায় থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় আটকে উত্তুরে হাওয়া। পূবালী হাওয়ার দাপটে জলীয় বাষ্প বাড়ছে। আপাতত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি থাকবে। দিনের বেলায় বাড়বে তাপমাত্রা। রাতে খুবই হালকা শীতের আমেজ বজায় থাকবে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। কলকাতায় মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। রাতে ও সকালে শীতের সামান্য আমেজ। বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বাড়বে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ।
হিমাচল সংলগ্ন এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে পারদ হু হু করে নামবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি চলবে। কুয়াশার চাদরে ঢাকতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.