অর্ণব আইচ: যাদবপুরের বহুতল থেকে ঝাঁপ কিশোর-কিশোরীর। রবিবার রাতে কাটজুনগরের একটি বহুতল আবাসনের থেকে নিচে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দু’জনকেই ভরতি করা হয়েছে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই কিশোর ও কিশোরীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বিশাল মারিয়ানি ও সুমি দাস।
[রিজেন্ট পার্কে গার্ডওয়ালে ধাক্কা বাইকের, স্টুডিও পাড়ার এক কর্মীর মৃত্যু]
শহরের বুকে মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল আবাসন। বাড়ি নয়, বরং ফ্ল্যাটে থাকতেই পছন্দ করেন শহরবাসী। কিন্তু, ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের কি গ্রাস করছে মানসিক অবসাদ? নিঃসঙ্গতা আর সম্পর্কের টানাপোড়েনে কি বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা? গত মাসেই যাদবপুর এলাকার অন্যতম অভিজাত আবাসন সাউথ সিটি মলের থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বছর চল্লিশের এক মহিলা। ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, সাউথসিটির তিন নম্বর ১৭ তলার একটি ফ্ল্যাটের একাই থাকতেন তিনি। নিঃসঙ্গতা গ্রাস করেছিল ওই মহিলাকে। আর এবার যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল যাদবপুরে কাটজুনগরে। এলাকার একটি বহুতল থেকে ঝাঁপ দিল বিশাল মারিয়ানি ও সুমি দাস। দু’জনের কারও বয়সই এখন কৈশোর পেরোয়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ওই বহুতলের নিচে বিশাল ও সুমিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তড়িঘড়ি তাদের নিয়ে যাওয়ার ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন ওই কিশোর-কিশোরী। তাদের শারীরিক অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
[ভাগাড় হয়েছে হাজার শরীর, বিরল জুনসিসে আক্রান্ত যাদবপুর-টালিগঞ্জের ১৪]
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, কাটজুনগরের যে আবাসন এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেই আবাসনেরই বাসিন্দা বিশাল। সুমি থাকে দক্ষিণ কলকাতার মনোহরপুকুর রোডে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিশাল ও সুমি পরস্পরকে ভালবাসত। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দু’জন। ঘটনায় এলাকার তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সুমির বাড়ির লোককে খবর দিয়েছে পুলিশ। রাতে হাসপাতালেও আসেন তাঁরা।
[মাদুলির টাকা ফেরত পেতে জ্যোতিষীকে অপহরণ, কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.