Advertisement
Advertisement

Breaking News

আত্মহত্যার পড়াশোনা করে আত্মঘাতী ছাত্র, ল্যাপটপ খুলতেই অবাক তদন্তকারীরা

চাঞ্চল্য পাটুলিতে।

Teen kills himself

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 8, 2018 11:03 am
  • Updated:December 8, 2018 11:03 am  

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: আত্মহত্যা নিয়ে পড়াশোনা করে আত্মঘাতী কিশোর। ঠিক যেমনটা দেখানো হয়েছিল পরিচালক সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সিনেমা ‘হেমলক সোসাইটি’তে। অর্থাৎ মানসিক অবসাদে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে আত্মহত্যার একাধিক পদ্ধতি সম্পর্কে যথেষ্ট চর্চা করতে দেখা গিয়েছিল সেই ছবির নায়িকা মেঘনা সরকারকে (কোয়েল মল্লিক)। যদিও শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হননি তিনি। তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন ছবির নায়ক আনন্দ কর (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়)। কিন্তু বাস্তবে সত্যিই আত্মঘাতী হল অর্কপ্রভ বসু। আত্মহত্যা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে অবশেষ নিজেই আত্মঘাতী হল পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাটুলিতে।

[শনিবার রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ, বাতিল সফর]

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে পড়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে অর্কপ্রভর ঝুলন্ত দেহ। তখন পাশেই খোলা ছিল তার ল্যাপটপ। যার তল্লাশি নিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ পাটুলি থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার হয়েছে আত্মহত্যা সংক্রান্ত নানান তথ্য। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের বাবা ইন্ডিয়ান অয়েলের পদস্থ কর্তা ও মা স্টেট ব্যাংকের কর্মী। পড়াশোনায় খুব একটা মনোযোগী ছিল না অর্কপ্রভ। তার বাবা-মা হাজার চেষ্টা করেও একমাত্র ছেলের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে পারেননি। একাধিক প্রাইভেট টিউশনেও হয়নি কোনও কাজ। এর ফলে দু’বছর ধরে অর্কপ্রভ পাঠভবনের একাদশ শ্রেণিতেই রয়ে গিয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি সে। পড়াশোনার বদলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং
ল্যাপটপেই বেশি মন দিত। ফলে বাড়িতে বাবা-মা  ও টিউশনের শিক্ষকরা মাঝে মধ্যেই বকাঝকা করত তাকে।

[পরীক্ষায় বসতে বাধা পড়ুয়াদের, রাতভর অধ্যক্ষকে ঘেরাও সিটি কলেজে]

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তখনও অফিস সেরে বাড়ি ফেরেননি ওই ছাত্রের বাবা ও মা। এই সময় অর্কপ্রভ নিজের পড়ার ঘরেই দরজা বন্ধ করে ছিল এবং পাশের ঘরে ছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচারিকা। বাবা ও মা বাড়ি ফিরে দেখেন, পড়ার ঘরের দরজা বন্ধ করে রয়েছে ছেলে অর্কপ্রভ। হাজার ডাকাডাকিতেও সাড়া মেলেনি তার। তখন পাটুলি থানায় খবর দেন অর্কপ্রভর বাবা। থানা থেকে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, সিলিং ফ্যানে ঝুলছে ওই ছাত্রের মৃতদেহ। অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অর্কপ্রভ। তাই আত্মহত্যার বিষয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করে সে। অবশেষে বেছে নেয় চরম পথ এবং পরিকল্পনা করেই বৃহস্পতিবার বিকেলে আত্মহত্যা করে সে। ইতিমধ্যে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট এলে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement