গোবিন্দ রায়: হাইপ্রোফাইল মামলায় অজানা ব্যক্তি অনলাইনে! কাণ্ড দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের শুনানি চলাকালীন।
সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি চলছিল সৌভিক ভট্টাচার্যের। যেহেতু তাঁর এজলাসে পকসো-সহ একাধিক স্পর্শকাতর মামলার বিচার চলছে তাই শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করা রয়েছে। কেউ যদি শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে বিচারপতির কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। এদিন শুনানি চলাকালীন আদালতের কম্পিউটারের স্ক্রিনে ‘Rx’ বলে একটি নাম ফুটে ওঠে। তৎক্ষণাৎ কোর্ট অফিসারদের কাছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানতে চান অনলাইনে কে রয়েছে? কোর্ট অফিসার জানান, যিনি ছিলেন তিনি অফলাইন হয়ে গিয়েছেন।
এহেন হাইপ্রোফাইল মামলায় অজানা ব্যক্তি অনলাইনে থাকার কাণ্ড দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত কলকাতা হয়ে যান বিচারপতি। এই এজলাসে ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে অনলাইনে হাজির থাকার অনুমতি কে দিয়েছে, প্রশ্ন করেন বিচারপতি। প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীরাও। তবে সদুত্তর মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের তদন্ত শুরু হয়। সেই সূত্রে ধরেই একের পর এক গ্রেপ্তারি হয়েছে। তালিকায় জুড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নাম। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর ইডির আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের একটি সংস্থা রয়েছে, যেখানে আইটির (তথ্যপ্রযুক্তি) কাজ হয়। ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ওই সংস্থার চুক্তি হয়। তাতে সৌভিকের সংস্থাকে ৫১৪ টি বিএ এবং বিএড কলেজে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের (আপগ্রেডেশন) দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও আপগ্রেডশনের কাজ হয়নি। টাকাও ফেরত যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.