সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এজলাসেই ইন্টারভিউ! ভুল বানান বলায় এক চাকরিপ্রার্থীকে ভর্ৎসনা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিরক্তির সুরে বিচারপতি বলেন, “এই বিদ্যে নিয়ে স্কুলে শিক্ষকতা করতে যাবেন? আপনার আবেদন খারিজ করতে বাধ্য হচ্ছি।”
২০১৪ সালের ওই টেট পরীক্ষার্থী পাশ করতে পারেননি। তাঁর দাবি, পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই নম্বর পেলে, তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। গত ১৭ জুলাই আবেদন শোনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চাকরিপ্রার্থীকে তাঁর প্রাপ্য নম্বর দিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট নতুন করে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে টেট পরীক্ষার্থীর ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউট টেস্টের ভিডিওগ্রাফি দেখানো হচ্ছিল। তাতে দেখা যায় চাকরিপ্রার্থী ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন, “আমরা চাষ করী আনন্দে।” অর্থাৎ ‘করি’ বানান ভুল। এরপর চাকরিপ্রার্থীকে বিচারপতি বলেন, “আপনি শিক্ষক হবেন? বলুন তো ‘দুর্গা’ বানান কী?” চাকরিপ্রার্থী উত্তরে ‘দুর্গা’ বানান ভুল বলেন। ‘উ’ কারের বদল বলেন ‘ঊ’ কার।
চাকরিপ্রার্থীর বানানের ভুল সংশোধন করে দেন। বলেন, “এই বানান না জানলে কীভাবে শিক্ষক হবেন? কী করে এই বানান ভুল করলেন?” চাকরিপ্রার্থীর জবাব, “আমি নার্ভাস ছিলাম। তাই ভুল হয়ে গিয়েছে।” “নার্ভাস হয়ে কেউ ‘করি’ বানান ভুল লেখে?”, পালটা প্রশ্ন বিচারপতির। এরপর নিজের বয়ান বদলে চাকরিপ্রার্থী বলেন, “অনেকদিন আগে পড়েছিলাম তাই ভুলে গিয়েছি।” বিচারপতির জবাব, “আমিও বহু বছর আগে পড়েছি। এই তো সেদিন আপনারা পড়ে এলেন, সব ভুলে গেলেন।” এরপর ভিডিও দেখা বন্ধ করে দেন বিচারপতি। চাকরিপ্রার্থীর আবেদন খারিজ করে বলেন, “এই বিদ্যে নিয়ে আপনি স্কুলে যাবেন? আপনার থেকে কম যোগ্যতার কেউ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। তবে আপনি স্কুলে পড়ানোর যোগ্য নন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.