গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, নাইসার আধিকারিক নিলাদ্রি দাস। তবু শিঁকে ছিঁড়ল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ভাগ্যে। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আরজি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতির মন্তব্য, “যে যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।”
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে(Teacher Recruitment Scam) সিবিআইয়ের জালে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জামিনের আরজি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন সেই আরজির শুনানি ছিল। সওয়াল জবাবে সিবিআই জানায়, যে ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল সেখান থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। ওই ফোন থেকে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নথিও উদ্ধার হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ব্যাংকের লেনদেন নজর রাখলেই বোঝা যায় যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই (CBI)। অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও অভিযুক্ত এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যেই অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পেশ হওয়া ৪০ পাতার চার্জশিটে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে মুর্শিদাবাদ ছাড়া আরও পাঁচটি জেলার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। প্রত্যেকটি জেলায় এজেন্ট ও সাব এজেন্ট নিযুক্ত করে যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলা হত, সেই বিষয়গুলিও চার্জশিটে উল্লেখ করা আছে। জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশির সময় নিজের দু’টি মোবাইল জীবনকৃষ্ণ পুকুরে ছুড়ে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন, তাও জানানো হয়। ওই দু’টি মোবাইল থেকে প্রচুর তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.