সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরের স্কুলে ফের যৌন নিগ্রহের ঘটনা। আঁকা শেখানোর নামে তিন খুদে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল ক্লাসেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে উত্তাল কেষ্টপুরের মিশনারি স্কুল অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ। নির্যাতিতা শিশুকন্যাদের কাছে গোটা ঘটনার কথা শুনে অভিভাবকরাই স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক দিব্যেন্দু সরকারকে উত্তমমধ্যম দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের রোষের মুখে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাইকেল মণ্ডলও। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
জানা গিয়েছে, ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। স্কুলের টিফিনের সময় আঁকা শেখানোর কথা বলে শিক্ষক দিব্যেন্দু সরকার। এই বলে তিন ছাত্রীকে একটি ফাঁকা ক্লাসে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানেই তিন খুদের উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় সে। ওইদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই কান্নাকাটি শুরু করে ছাত্রীরা। অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারেন, তাদের গোপনাঙ্গে জ্বালা করছে। এরপরই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, শিশুদের যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। এর জেরেই বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই ঘটনা শুনে ক্ষোভে ফুটতে থাকেন অভিভাবকরা। শুক্রবার স্কুল খুলতেই অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে বাগুইআটি থানার পুলিশ এসে দিব্যেন্দু সরকারকে গ্রেপ্তার করে। এদিন অভিযুক্ত শিক্ষক, তৃণমূল নেতার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর খেয়েছে পুলিশও।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের দাবি, এর আগেও শিশুদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক। সেই সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুদীপ্তা মণ্ডলকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। তিনি শিক্ষকদের তরফে অভিযোগ পত্র পেয়েও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ। তাতেই এই শিক্ষকের সাহস বেড়ে গিয়েছে। অভিযুক্তকে বারবার আড়াল করার চেষ্টা করছে স্কুল। যদিও অভিযুক্তের দাবি পড়ুয়া ও অভিভাবকরা মিথ্যে বলছেন। সে একেবারেই নির্দোষ। এদিনের ঘটনার পর প্রধান শিক্ষিকা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিটা পুলিশ দেখবে। এবিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.